আশুলিয়া প্রতিনিধি: সুবন্ধী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় বিনা অপরাধে গ্রেফতার হয়ে ৮দিন ধরে কাশিমপুর কারাগারে আটক হৃদয় হোসেন স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলছেন,কোনো অপরাধ না করেও তাকে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আটক হৃদয় হোসেন এর শুশুর মোঃ রেজাউল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন আমার জামায় হৃদয় হোসেন সম্পূর্ণ নির্দোষ। পালিয়ে যাওয়া মেয়ের বাবা খোকন বাদী হয়ে আমার জামাইয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে এবং আমার মেয়েকে খোকনের স্ত্রীসহ বিভিন্ন লোক দিয়ে মারধর করেছে,আমরা গরিব মানুষ কোথায়ও কোন বিচার পাচ্ছি না আমরা এখন নিরুপায় জামায়-কে কারাগার থেকে কি করে মুক্তো করবো সেই অপেক্ষায় আছি।
এছাড়া হৃদয় হোসেন এর শুশুর মোঃ রেজাউল ইসলামের প্রশ্ন,কোনো অপরাধ না করেও আমার মেয়ের জামায় এখন জেলখানায় আমার মেয়ের জামায়ের যে ক্ষতি হয়েছে এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এ মিথ্যা মামলার ঘটনায় আমার মেয়ে তার ৭মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে ভেঙে পড়েছেন। তার খাওয়া দাওয়া ও ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত। মামলার বিষয়ে হৃদয় হোসেন স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম খোকন এর বাসায় আমরা ভাড়া থাকতাম সেখানে তার মেয়ে সানজিদা আক্তার আমার কাছে প্রাইভেট পড়তো কিন্তু ইমতিয়াজ মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করতো সেটা আমি জানতাম না এমন কি সানজিদা-কে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে সেটাও আমি জানি না। পরে যখন তার বাবা খোকন,আমার স্বামী-কে ধরে মার ধর করে তখন আমি জানতে পারি তখন আমরা সবাই মিলে মধুপুর ইমতিয়াজদের বাড়িতে তার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলি কিন্তু তখন তারা আমাদের বলে আমার ছেলে কোথায় গিয়েছে তা আমরা জানি না। পরে ওখান থেকে বাসায় ফিরে আসলে সানজিদার মা ইয়াছমিন বেগম আমার ও আমার মেয়ে কে রুমের ভিতর আটকিয়ে রহিমাসহ তার মা,বোন মিলে আমাকে মার ধর করে আমার ৭মাসের শিশু সন্তান-কে আটকে রাখে এবং বলে এবার যদি তোর কেউ থাকে তাহলে তাদেরকে বল তোদের-কে বাঁচাতে।
তিনি আরও বলেন আমাকে আমার ভাড়াকৃত তাদের বাসা থেকে বের করে দিয়েছে এমন কি তাদের বাসায় আমার রুমে তালা মেরে দিয়েছে আমার ও আমার মেয়ের ব্যবহারের সকল প্রকার কাপড়চোপ আসবাবপত্র রুমে রয়েছে আমি এখন নিরুপায় আমার স্বামীকে কিভাবে আমি জেলখানা থেকে বের করব তারা আমাকে বার বার জীবন-নাশের হুমকি দিচ্ছে এবং আমাকে বলছে তুই আমার মেয়েকে এনে-দে আর যদি না দিতে পারিস তাহলে তোকেও তোর জাময়ের মত মামলা করে পুলিশ দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিবো তখন বুঝবি কত ধানের কত চিড়ে।
এছাড়াও হৃদয় হোসেন স্ত্রী খাদিজা আক্তার আরও বলেন আমার শাশুড়ি ফিরোজা বেগম তার বোন মাফুজা,সুমনসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার বাড়িতে এসে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে এমন কি তারা বলছে তার ছেলেকে জেলখানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে। আমার শাশুড়ি ফিরোজা বেগম পালিয়ে যাওয়া মেয়ে সানজিদার মা বাবার সঙ্গে জোট করে তারা আমার উপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করছে তার একমাত্র কারণ হলো বিয়ের পর থেকে তারা আমাকে পছন্দ করে না এবং বিয়ের পর থেকে আমার শাশুড়ি ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য দাবি করে আমার বাবার কাছে চাপ দেয়।
আমার বাবা গরিব মানুষ হওয়ার কারণে টাকা না দিতে পারায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করেছে যার কারণে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার স্বামী আমাকে ভাড়া বাসায় নিয়ে চলে আসে,আমার স্বামী কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলখানায় যাওয়ার পর থেকেই আমার শাশুড়িসহ তার বোন,বোন জামাই আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। উক্ত মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ কোর্টের এডভোকেট মিলন বলেন এর কাছে জানতে চাইলে আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম-কে তিনি বলেন আদালতের আদেশ পাওয়ার পর হৃদয় হোসেন-কে মুক্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।উক্ত বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার
এসআই মোঃ শাহজালাল এর কাছে জানতে চাইলে আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম এর প্রতিবেদক-কে তিনি বলেন উক্ত ঘটনায় সানজিদা আক্তার এর বাবা শহিদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ গত মঙ্গলবার ১জুলাই রাতে হৃদয় হোসেন-কে গ্রেফতার করে। এসময় তিনি আরও বলেন হৃদয়ের স্ত্রী খাদিজা ও হৃদয়ের সহযোগিতায় ১নং আসামি হৃদয়ের বন্ধু মোঃ ইমতিয়াজ (২৩) নাবালিকা মেয়ে সানজিদা আক্তার-কে জোর পূর্বক অপহরন করে,সাংবাদিকরা মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সানজিদা আক্তার উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার কোন মীমাংসা করবে না বলে জানিয়েছেন তার বাবা শহিদুল ইসলাম খোকন।