কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রবাসী হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার আসামি হেলাল উদ্দিনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।শনিবার (২১ জুন) সকালে উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হেলাল উদ্দিন স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে চিহ্নিত করে আটক করে এবং বেধড়ক মারধর করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচতে একটি গোয়ালঘরে আশ্রয় নেন হেলাল। সেখানে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে, তবে উত্তেজিত জনতার আক্রমণ সেখানেও অব্যাহত থাকে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, “জনতার হাত থেকে হেলাল মিয়াকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।”
উল্লেখ্য, দুই মাস আগে হাবিবুল্লাহর বড় ভাই আমানুল্লাহর স্কুলপড়ুয়া ছেলে সাত্তারের সঙ্গে হেলাল উদ্দিনের ছেলে জুবায়েরের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রবাসফেরত হাবিবুল্লাহ দেশে ফেরার পর থেকেই হেলালের পরিবার তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ঈদগাহ মাঠের কাছে হেলালের ভাগ্নে মুখলেস তার গতিরোধ করে। এরপর ওঁত পেতে থাকা হেলালসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা হাবিবুল্লাহকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।