মিয়া মো: রাজিবুল ইসলামঃ চলতি বছরের ২৯শে জানুয়ারী ভেনিজুয়েলার কারাগারে বন্দী হন বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান। কিন্তু ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো তার মুক্তি নিয়ে কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যার কারণে সঙ্কিত হয়ে পড়েছে তার পরিবার। যদিও বন্দী হওয়ার পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, ভেনিজুয়েলায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেঘনা প্রেস্টিজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকের মুক্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উত্তরে মুখপাত্র সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেঘনা প্রেস্টিজ গত ২৯ জানুয়ারী ভেনিজুয়েলায় বন্দর ত্যাগের পূর্বে জাহাজের মালামাল লোডিংয়ের স্থানীয় নিয়ম মোতাবেক মাদকবিরোধী অনুসন্ধান প্রটোকল অনুযায়ী জাহাজের নিমজ্জিত অংশ পরিদর্শনকালীন ভেনিজুয়েলার একজন নাগরিক ও ডুবুরি প্রাণ হারান এবং অপর একজন ডুবুরি আহত হন। এ ঘটনায় ভেনিজুয়েলা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি কার্যক্রম শুরু হয় এবং জাহাজটি স্থানীয় কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে নাবিক ও মালামালসহ আটক করা হয়। জাহাজের ক্যাপ্টেন/মাস্টার মাহবুবুর রহমানকেও বিগত ৩০ জানুয়ারী স্থানীয় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং দুটি মামলা রুজু করা হয়। এরপর থেকেই তিনি ওই দেশটির কারাগারে বন্দী রয়েছেন।এইদিকে বাংলাদেশে নড়াইলে নিজ জেলায় অবস্থিত তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা য় দিন কাটছে,,,। মেঘনা গ্ৰুপের জাহাজ মেঘনা গ্ৰুপ ছাড়িয়ে নিয়ে আসলেও জাহাজের ক্যাপ্টেন এর মুক্তির ব্যাপারে কোন জোরালো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মেঘনা প্রেস্টিজ আবার সাগরে ভেসেছে,,,, কিন্তু মেঘনা প্রেস্টিজের ক্যাপ্টেন এখনো দেশে তার পরিবারের পরিজনের কাছে ফিরে আসতে পারেননি। দিনে দিনে শারীরিক অসুস্থতা,অবসাদ, বিষন্নতা তাকে তীব্র মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন করছে। এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে, বাংলাদেশ এর একজন নাগরিক ও প্রথম শ্রেণীর মাষ্টার লাইসেন্সধারী হিসেবে সহযোগিতা চেয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭