ঢাকাশনিবার , ১৪ জুন ২০২৫

সবজির বাজারে ক্রেতা কম, দামও কম


জুন ১৪, ২০২৫ ১২:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:   ঈদুল আজহার সপ্তম দিনেও ফাঁকা ঢাকা। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। পাশাপাশি দুই-একটি সবজি ছাড়া সবগুলোর দামই স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে বেশির ভাগ সবজির দামই প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া, কিছুটা কমেছে মাছ-মুরগির দাম। ফলে ঈদের পরে মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। ঢাকায় মানুষ ফিরলে দামও বাড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা চাকরিজীবী মানিক মিয়া বলেন, বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কমই আছে, তবে বাজারে ক্রেতা কম সে কারণে বিক্রেতারা সব ধরনের সবজি আনেনি। আর বাজারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি বলতে গেলে খুবই কম। মূলত ঈদ শেষে এখনো সিংহভাগ মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। সে কারণেই বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুব কম।
মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। অনেক বিক্রেতা এখনো নিজেদের দোকান খুলতে শুরু করেনি। সবমিলিয়ে সবজির বাজারে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য অবস্থা। এদিকে, পাইকারি বাজারেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি তুলনামূলক কম আসছে, এর কারণ এখন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরা পরিবহনের সংখ্যা বেশি, যানজটও হচ্ছে। তাই সবজির গাড়ি কম ঢুকছে ঢাকায়।

রামপুরা বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা খাজা খান বলেন, ক্রেতা কম, সবজির সরবরাহ কম থাকলেও বাজারে সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বেশির ভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে। অন্যান্য সময়ের মতোই এখনো সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে ক্রেতা কম, সবজি বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম এখন। ধারণা করা যায়, আগামী রোববার থেকে বাজারে তাদের সমাগম ঘটবে।
এদিকে তুলনামূলক সস্তা মাছ, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি এখনো কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। স্কুল শিক্ষিকা ফাতেমা বলেন, ঈদের পর পরিবারে আর কেউই মাংস খেতে চাচ্ছে না। তাই সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। মুরগির দামটা আমার কাছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ কমই মনে হয়েছে। মোটামুটি সস্তা হওয়ায় এখন মুরগির মাংস সবাই খেতে পারে। মুরগি বিক্রেতা নুরুল বলেন, ঈদের পর দুইদিন বিক্রি একেবারে থেমে গিয়েছিল। এখন আবার একটু গতি এসেছে। দামও একটু কমে এসেছে, সেটা ভালো লক্ষণ।

ডিমের বাজারেও রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। ডিম বিক্রেতা ইকবাল বলেন, ঈদের পর ডিমের চাহিদা বেড়েছে। সবাই এখন ঘরে ফিরেছে, অফিস-স্কুলও খুলছে, তাই আবার প্রতিদিনকার খাবারে ডিমের ব্যবহার বাড়ছে। দাম একটু কমেছে সরবরাহ ভালো থাকায়।

বাজারে বড় রুই বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। তবে, দেশি জাতের শিং ও কৈ যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাছ বিক্রেতা হাসান বলেন, ঈদের আগে মাছ একদম চলেনি। এখন আবার চাহিদা বেড়েছে। দামও কিছুটা কম, সরবরাহ ভালো। তবে, দেশি শিং-কৈ এখনো খুব দামি, কারণ এগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন।

অন্যদিকে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।