স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে পশু কোরবানি।শনিবার সকালে ঈদের প্রথম জামাত শেষে মোহাম্মদপুর, আদাবর, ফার্মগেট, ইস্কাটনসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও মহিষ জবাই করতে দেখা গেছে। বাসাবাড়ির সামনে, গ্যারেজে কিংবা খোলা জায়গায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজ চলছে।
অন্যদিকে, মাংস বণ্টন ও পরিচ্ছন্নতার কাজেও ব্যস্ত অনেকে। কোরবানির এই আয়োজন ঘিরে শিশুদের মাঝেও দেখা গেছে উৎসবমুখর পরিবেশ।কাঠালবাগানের বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “আল্লাহকে খুশি করতে, তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ছাগল জবাই হয়ে গেছে। ধর্মীয় বিধান মেনেই মাংস বণ্টন করা হবে।”তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা সুলতান ফাহিম বলেন, “গরু কিনেছি দুইদিন আগে। বাড়ির শিশুরাও গরুটি দেখভাল করেছে। আজ ঈদের নামাজ আদায় করে কোরবানি দিলাম। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাই মূল উদ্দেশ্য।”
এদিকে কোরবানির পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দুই সিটিতে মিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে ২০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নকর্মী।ঢাকা সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে রাজধানীতে প্রায় ৭ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে, যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে ঈদের দিন বিকেল ৩টা থেকে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো শহর পরিষ্কার করার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবহন এবং যান্ত্রিক শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (টিএসসি) স্থাপন করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়েই সব বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭