মোঃ পলাশ শেখ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি। জেলার কাজিপুর উপজেলা চরগিরিশ ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি হওয়াতে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত হচ্ছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় দিশেহারা পড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , কাজিপুর উপজেলার চরান্চলের পূর্ব পাড় চরগিরিশ ইউনিয়নের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। চরাঞ্চলের গ্রামটিতে এবার ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতে। শুধু চরগিরিশ ইউনিয়ন নয়, পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নেও কিছু কিছু জায়গায় একই চিত্র। যমুনা নদীর তীরবর্তী ৭ টি ইউনিয়ন প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার পরিবারের বসবাস করে । এর আগে বিগত বছরে প্রায় নদী ভাঙনে হারিয়েছে বসতভিটা। নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি।
এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে নদীপাড়ের বাসিন্দারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে যমুনা নদীর ভাঙন। তীব্র স্রোতে গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভাঙছে চর। এতে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
চরগিরিশ ইউনিয়ন এক বাসিন্দা বলেন , ধীরে ধীরে ভাঙন এগিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ির দিকে। হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও স্কুল।চরগিরিশ ইউনিয়নে অপর একজন বলেন, নদী আগে অনেকদূর ছিল। ভাঙতে ভাঙতে কাছে চলে আসছে। নদীর স্রোতও ছিল অনেকদূরে। গতিপথ পরিবর্তন করে তীরবর্তী এলাকায় স্রোত হচ্ছে। ফলে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।
একই এলাকার আরেক জন বলেন, এভাবে ভাঙতে থাকলে আমাদের বাড়িঘর সব নদীর পেটে চলে যাবে। সরকার থেকে কিছু একটা না করলে তো আমাদের সব শেষ হয়ে যাবে। ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।এলাকারবাসী সরকারে কাছে দাবি জানায় যেন স্হায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করলে এলাকা টিকে থাকবে।
