ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটি থেকে বিমান-জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


জুন ১৯, ২০২৫ ৬:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভোরের খবর ডেস্ক:   ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা ঘাঁটিগুলো থেকে বিমান এবং জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।বুধবার (১৯ জুন) মার্কিন সামরিক বাহিনীর দু’জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যোগদানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এটা করতে পারি। আমি এটা নাও করতে পারি। মানে, কেউ জানে না আমি কী করতে যাচ্ছি।’ ট্রম্পের এই মন্তব্যের পর ঘাঁটিগুলো থেকে বিমান এবং জাহাজ সরিয়ে এই পদক্ষেপ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও সরঞ্জামকে নিরাপদ রাখা। তবে ঠিক কতগুলো বিমান ও জাহাজ সরানো হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।

একজন কর্মকর্তা বলেন, আল-উদেইদ ঘাঁটির যেসব বিমান শক্তিশালী সুরক্ষার আওতায় ছিল না, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাহরাইনের একটি বন্দরের জাহাজগুলোও সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এই বন্দরেই যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর অবস্থান করে।তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোনও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ নয়, এটি বাহিনী সুরক্ষা অগ্রাধিকার।’এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ব্লুমবার্গ নিউজ বুধবার জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের সিনিয়র কর্মকর্তারা ইরানে আসন্ন হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এই পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ব্লুমবার্গের মতে, কিছু মার্কিন কর্মকর্তা এই সপ্তাহের শেষের দিকে ইরানে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।এদিকে কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) একটি সতর্কতা জারি করে তাদের কর্মীদের দোহার বাইরে মরুভূমিতে অবস্থিত মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক স্থাপনা আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

দূতাবাস কর্মী ও কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’এরআগে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলার হুমকি দেয় ইরান।

ইরানি কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং যদি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানে হামলা শুরু করে, সেক্ষেত্রে ইরাকে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রথম আক্রমণ করা হবে। পরে ধীরে ধীরে অন্য ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। তারা আরও জানিয়েছেন, ইরান যদি মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে চায়— সেক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনীর বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। কারণ তেহরানের কাছে স্বল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তাতে খুব সহজেই ইরাক, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পরবে ইরানের সেনাবাহিনী।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।