হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে কুখ্যাত মাদক কারবারি ফয়সল মিয়ার (৪২) দাপটে নাজেহাল এলাকাবাসী। দিনের আলোতেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই মাদক সম্রাট, অথচ তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও অভিযোগ। সীমান্তবর্তী ওইবিল এলাকা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাদক পাচার করে আসছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ফয়সল মিয়ার ভয়ে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, তার আপন ভাই ও ভাবিদেরও নিরাপদ জীবন মেলে না। ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর তার ভাবি আজিজুন্নাহার জলি মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে চুনারুঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় পারিবারিক নিপীড়নের নতুন অধ্যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সল তার প্রবাসী ভাই বিল্লাল, শাহিন ও সায়েদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে তাদের স্ত্রীরা নিজ নিজ বসতভিটা ছেড়ে চুনারুঘাট ও হবিগঞ্জ শহরের ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদকের বিস্তারে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই ফয়সলের লাঠিয়াল বাহিনীর চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে কীভাবে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন — এ প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন ভুক্তভোগীরা।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূর আলম জানান, “এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ফয়সল মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও তিন থেকে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও তার বেপরোয়া চলাফেরা ও তৎপরতা স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিত পরিবার প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, ফয়সল মিয়াকে আইনের আওতায় এনে চুনারুঘাট উপজেলাকে মাদকমুক্ত, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হোক।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭