ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে মসজিদের ইমাম ও জামায়াত নেতা কাউসার আহমেদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের দল থেকে বহিষ্কার না করে বিএনপি ঘটনা আঁড়াল করার চেষ্টা করছে বলে দাবী করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী দাবী করেন, “জামায়াত তাদের কথা রাখেনি।” কিন্তু জামায়াত কি কথা রাখেনি তা তিনি পরিষ্কার করেননি। জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে বিএনপি নেতৃবৃন্দের যে কথা হয়েছে, তা হলো- নিহত কাউসার আহম্মেদ এর পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে খুনের সাথে জড়িত ও অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে তারা হস্তক্ষেপ করবেন না বরং সহযোগীতা করবেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ নিহতের জানাযায় উপস্থিত হয়েও জনসাধারণের সামনে সেই ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বিএনপি নেতৃবৃন্দ নিহতের পরিবারের সাথে বা জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে কোন প্রকার আলোচনা করেননি। অভিযুক্ত খুনীদের দল থেকে বহিষ্কার করেননি বরং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রয়াসে সাংবাদিক সম্মেলনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে চিহ্নিত খুনীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। এমনকি বলা হচ্ছে ‘ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে’- বিএনপির এমন দাবীর প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
তিনি আরো বলেন, খুনীদের বিচার না হলে সমাজে খুন রাহাজানি বেড়েই যাবে। কোন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই প্রকৃত খুনীদের সঠিক বিচার হোক। খুনীদের পরিচয় শুধু খুনীই। কোন খুনীকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদান করা হলে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এআর হাফিজ উল্যা, সেক্রেটারী মু. ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারি সেক্রেটারী মাওলানা নাছির উদ্দিন ও এড. মহসিন কবির মুরাদসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে জামায়াত নেতা কাউছার হামলার শিকার হন। এদিন সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। রাতে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷ পরদিন শুক্রবার দুপুরে মৃতদেহের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (৮ জুন) রাতে নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মো. রিয়াজ হোসেন ও মো. সোহাগ হোসেনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।