নিজস্ব প্রতিনিধি: গাইবান্ধা’র গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের জিরাইগ্রামের নিজবাড়িতে শনিবার (১৪-০৬-২৫) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন,গত ৭ জুন সন্ধ্যা ৭ টার সময় মহিমাগঞ্জের আলিয়া কামিল মাদ্রাসা রোডে রাজুর মোড়ে একটি চায়ের দোকানের সামনে স্থানীয় শান্ত, বাবু, প্লাবন, রাজু, বুলবুল, রাসেল, সোহেলসহ আরও ১০/১৫ জনের সাথে চা পান করছিলাম। আকস্মিকভাবে রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিক এসে অনাকাঙ্খিতভাবে উল্টাপাল্টা কথা বলে মারধোর শুরু করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রবিউল ইসলাম খাজার অনুগত ২/৩জন এসে অনিকের সাথে যোগ দিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও মারপিট করতে থাকে। সিসি টিভি ফুটেজে যার প্রমাণ রয়েছে।
বিষয়টি নিরসনকল্পে স্থানীয় লোকজন দুইটি দলে বিভক্ত করে সকলকে সরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মাদ্রাসা রোড দিয়ে বাসার দিকে যাওয়ার সময় পিছন থেকে রবিউল ইসলাম খাজা ও তার ছেলে অনিক ১০০/১২০ জন সন্ত্রাসীকে নিয়ে ঘিরে ফেলে। সেখানে খাজা আমিসহ রাফেল, বুলবুল ও জাকিরকে মেরে ফেলার নির্দেশ প্রদান করে। একই সময় খাজা বাহিনী দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলা থেকে বাঁচার জন্য আমার চাচাতো ভাই সোহেল মাদ্রাসার ভিতরে গেট লাগানোর চেষ্টা করে। সেখানেই তারা ৬/৭ জন প্রবেশ করে চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে সোহেল মারা গেছে এমনটি ভেবে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ সময় আমাদের সাথে থাকা ৭/৮ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে খাজা বাহিনী। ইতোমধ্যেই হাসপাতালে চিকিৎসাগ্রহণপূর্বক গুরুতর জখম ব্যক্তিরা বাড়িতে অবস্থান করছে। বাধ্য হয়ে গত ৯-০৬-২৫ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় রবিউল ইসলাম খাজা ও তার বাহিনীর নামে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে খাজা বাহিনীর প্রধান রবিউল ইসলাম খাজা স্থানীয় একটি মাদ্রাসা অডিটোরিয়ামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনটি ফেসবুক আইডিতে প্রচারিত হয়। সেখান তারা আমাদেরকে হেয় করতে ও ফাসাতে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে। বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নান অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও এবং থানায় মামলা হলেও এখনও রবিউল ইসলাম খাজা ও তার বাহিনীর লোকজন ধরাকে সরা জ্ঞান করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে যা জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি রবিউল ইসলাম খাজা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের কাছে বিনীত আহ্বান জানান। পাশাপাশি খাজা বাহিনীর মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন,চাঁদ মিয়া মন্ডল, আরিফ হাসান ঈদুল, জুয়েল মন্ডল, রাজু মিয়া, শান্ত মন্ডল, আমিনুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মোনারুল ইসলাম, বুলবুল, দুলাল, আনোয়ার ও জামিল হোসেন।
