ভোরের খবর ডেস্ক: ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিবে নতুন করে হামলা চালাচ্ছে ইরান।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানায়, ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহরে হামলা শুরু হয়েছে। সামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং সামরিক শিল্প-সম্পর্কিত কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে নতুন একটি সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু হয়েছে।
তারা আরও জানায়, ড্রোন অভিযান চলমান রয়েছে, যেখানে ১০০টিরও বেশি ধরনের যুদ্ধ ও আত্মঘাতী ড্রোন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে।বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক ও সামরিক শিল্পক্ষেত্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাত্রা আরও বাড়াবে।এর আগে, এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, সেটা শনাক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব হামলা প্রতিহত করতে কাজ করছে।
একইসঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনী জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে (বাঙ্কার) যেতে এবং নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলেছে।উল্লেখ্য, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ইহুদিবাদীরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।