ঢাকারবিবার , ২৯ জুন ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহরে চোরের দৌরাত্ম্যে আতঙ্কে এলাকাবাসী, ১৭ দিনে তিনবার চুরি


জুন ২৯, ২০২৫ ৮:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:   কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে হঠাৎ করেই চোরের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। দিনে-রাতে সুযোগ পেলেই চোরেরা হানা দিচ্ছে নির্জন ও বাসিন্দাবিহীন বাড়িগুলোতে। শোলাকিয়া এলাকার একটি বাড়িতে গত ১৭ দিনের ব্যবধানে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। একাধিক ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত চোরেরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরির ঘটনা বাড়লেও পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অনেকেই বলছেন, এটি পুলিশের দায়িত্বে অবহেলারই প্রমাণ।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিনের নীলগঞ্জ রোডের বাড়িতে ১১ জুন প্রথম চুরির ঘটনা ঘটে। জানালা খুলে চোরেরা ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এরপর ২০ জুন ভোরে গেট ভেঙে আবারও মালামাল চুরি করে। এসব ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জিয়া উদ্দিন। কিন্তু সবশেষ শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ওই বাড়িতে তৃতীয়বারের মতো চোরের হানা পড়ে। সিসি টিভি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আশপাশের লোকজন জড়ো হলেও ততক্ষণে চোর পালিয়ে যায়।

জিয়া উদ্দিন ব্যবসায়িক কারণে অধিকাংশ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন। তার স্ত্রী চাকরির সুবাদে আখাউড়ায় এবং সন্তান পড়াশোনার জন্য কিশোরগঞ্জের বাইরে থাকেন। ফলে বাড়িটি প্রায়ই খালি থাকে, যা চোরদের বারবার চুরির সুযোগ করে দিয়েছে।তিনি বলেন, ‘চোরকে শনাক্ত করে থানায় জানালেও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এসআই সেলিম মোল্লা জানালেন, গাড়ি না থাকায় অভিযান চালানো যাচ্ছে না।’চুরির ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছেন তার স্ত্রী বিলকিস আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার চুরি হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। মনে হচ্ছে, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ।’এলাকাবাসীও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘চুরির পর পুলিশ আসে, দেখে যায়, এরপর আর কোনো অগ্রগতি থাকে না। আমরা নিজেরাই সন্ধান করতে করতে একসময় হতাশ হয়ে থেমে যাই।’

আরেক বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রেখে বাইরে যাওয়াই দায় হয়ে গেছে। দ্রুত এ চক্রকে ধরতে হবে।’এসআই সেলিম মোল্লা বলেন, ‘শনাক্ত হওয়া চোরকে ধরতে গতকাল অভিযান চালানো হয়েছিল, তবে পাওয়া যায়নি। আজ রবিবার পুনরায় অভিযান চালানো হবে।’এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চুরির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।