ভোরের খবর ডেস্ক: ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ নিহত হওয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ শুরু করেছে ইরান। দেশটি বলছে, তারা ইসরায়েলের ওপর আরও হামলা বাড়াবে।একজন সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছে, চাইলে ইরান এ হামলা আরও জোরালো করতে পারে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যে দেশগুলো চাইবে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে, তাদের ঘাঁটিতেও হামলা হতে পারে।
ইরান মনে করে আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে। কারণ, ১৩ই জুন সকালে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থানে আঘাত করেছে এবং অনেক কম্যান্ডার ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে।শুক্রবার রাতে অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র অংশ হিসেবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ হামলায় তারা ইসরায়েলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত হানে এবং দেশটির দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষাও অল্প সময়ের মধ্যেই ভেদ করে যায়।
ইরানি বিপ্লবী গার্ড কর্পস বলেছে, এ অভিযান সম্পূর্ণভাবে ইসলামী বিপ্লবের নেতা ও সেনাপ্রধানের নির্দেশ এবং জনগণের দাবিতে পরিচালিত হয়েছে।আইআরজিসি প্রধান মোহাম্মদ পাকপুর বলেছেন, ইরানের পাল্টা হামলা ইসরায়েলের জন্য ‘নারকীয় দরজা খুলে দেবে’ এবং এটি ‘কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক’ হবে। ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মদ বকর কালিবাফ বলেছেন, যেহেতু যোদ্ধারা সংঘাত শুরু করেছে, তাই ইরানই এর সমাপ্তি নির্ধারণ করবে।
আইআরজিসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল ভবিষ্যতে সিভিলিয়ান স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তবে ইরানের পরবর্তী পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোই মূল লক্ষ্য হবে।একই দিনে ইসরায়েল ইরানের কেন্দ্রীয় এসফাহান প্রদেশের পারমাণবিক স্থাপনা নাতানজকেও আঘাত করেছে, যদিও শক্তিশালী ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। তবে কিছু ক্ষতি উপরের দিকে হয়েছে।
ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে অন্তত দুইটি ইসরায়েলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এবং একজন পাইলট বন্দি হয়েছে।এ হামলার সময় ইসলামিক বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিই ঘোষণা দেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ করে তুলবে। তিনি বলেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বাহিনী শয়তান শত্রুকে একটি বড় ধাক্কা দেবে।’