কেএম সবুজ: বাবা মারা যাওয়ার পরে পড়ালেখা বাদ দিয়ে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমায় শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়। দীর্ঘ ১৫ বছর কেটে গেছে এখানেই। মা নিয়ে পাতা দরিদ্র সংসারে এক সময় করেন বিয়ে। সবশেষে, মা ,স্ত্রী ও সন্তান সহ চারজন সদস্যের পরিবার তার। কিন্তু সবারই খোরাক জুটে আনোয়ারের রিক্সার প্যাডেলে। প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোনমতে খেয়ে পড়ে ও বাসা ভাড়া দিয়ে দিনাপাত করছিল আনোয়ার। কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ নেমে আসে অন্ধকার। ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হওয়া মায়ের পায়ের ইনফেকশন দেখা দিলে তা বড় ধরনের অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয় ডাক্তার। তার জন্য গুনতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। গ্রামের বাড়ির শেষ সম্বল ভিটেমাটি বিক্রি করে ডান পা কেটে ফেলা হয়। তাতেও শেষ হয়নি দু:খ। একদিকে জীবিকার তাগিদ অন্যদিকে মায়ের ঔষধ কেনার চাপ। সবমিলিয়ে দিশেহারা এই দিনমজুর আনোয়ার।
এ বিষয়ে আনোয়ার জানান, আমার মাকে আপনারা বাঁচাতে সহযোগিতা করুন। আমার মায়ের জন্য আপনাদের কাছে হাত জোর করছি।
অন্যদিকে আনোয়ারের মায়ের চিকিৎসা সম্পর্কে তার প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ার তার মায়ের চিকিৎসা নিয়ে খুব হিমসিম খাচ্ছে। যদি সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতো তাহলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া আনোয়ারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব না।
উল্লেখ্য , আনোয়ারারের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালি থানার পার সাতুরিয়া গ্রামে। সে বর্তমান ঢাকার আশুলিয়ার ঘোষবাগের পানির টাংকি এলাকার বজলুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার সাথে যোগাযোগ এর মোবাইল নং ০১৭৩৮৫৯৫১৪৫