মো. রাসেল রানা ( রাজশাহী) প্রতিনিধি: দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যে-সব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তার একটি বাংলাদেশ। দূষণের কারণে বিভিন্ন শহরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয় তার ৩০ শতাংশই মারা যায় পরিবেশ দূষণ জনিত অসুস্থ কারণে। যেমন: হাইপার টেনশন, আলসার, হৃদ্রোগ, মাথাব্যথা বা স্নায়ুর সমস্যা, শিশুর জন্মগত ত্রুটি, ক্যান্সার, ফুসফুসে সমস্যা, ব্লাড প্রেশার, শ্বাসের সমস্যা, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনির দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাসহ দূষিত পরিবেশে বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে প্রতি চারজনের মধ্যে অন্তত একজনের মৃত্যু হয় পরিবেশগত কারণে৷ যার মধ্যে অকালে মৃত্যু অন্যতম কারণ বায়ু, পানি ও মাটির দূষণ এবং সেই সঙ্গে অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও রাস্তাই মূলত এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ বাংলাদেশ একমাত্র রাজনৈতিক দল-বিএনপি পরিবেশ সংস্কার প্রথম দাবি উপস্থাপন করেন জনাব তারেক রহমান। কেননা ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চল সহ ফেনী জেলার ৭০ ভাগ নলকূপে মিলছে না পানি, পানির জন্য হাহাকার অবস্থা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার আটটি। বাংলাদেশে শাখাপ্রশাখা উপনদী মিলে কম-বেশি ৭০০টি নদী রয়েছে। অধিকাংশ নদী মৃত্যুপ্রায়। পানিশূন্য হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ৮৫টি অধিক নদী। বিগত সময়ে পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ চালু করেন। এছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে পরিবেশ সংস্কার নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করতে দেখেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জনগণের সচেতনতা এবং তাদের সমথর্নে সরকার পরিচালনা দায়িত্ব নিয়ে বিএনপি সরকারের সক্রিয়তা ও পরিকল্পনা নিয়ে ২৩ ও ২৪ মে পরিবেশ রক্ষায় সেমিনার ও তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ ডাক দিয়েছেন। জনাব তারেক রহমান মনে করেন পরিবেশ দূষণ কমানোও সংস্কারের একটি বড় অংশ। প্রতি বছর লক্ষাধিক শিশুসহ কোটি কোটি মানুষ পরিবেশ দূষণের কারণে ঢাকাসহ সমগ্র দেশে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের সমর্থনে রাষ্ট্রপরিচালনা দায়িত্ব নিয়ে ২০ কোটি জনগণকে কীভাবে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পান করা সুপেয় পানি ও ব্যবহার্য পানি সরবরাহ করা যায়, বৃহৎ জনসংখ্যার জ্বালানি চাহিদা কীভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে তিনি সংস্কারের প্রস্তাবনা ঘোষণা দিয়েছেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার অংশ হিসেবে সারাদেশে ৫ কোটি বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দেশ ও জনগণের স্বার্থে কৃষি, কৃষক ও নদী বাঁচাতে তিস্তা সমস্যার সমাধানের কথা বলেছেন। উত্তরাঞ্চলের মানুষ বন্যা, খরাসহ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। তিস্তার বুকে ধু-ধু বালুচর সাথে পানির অভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে এসব থেকে রক্ষার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন। জনগণের সমস্যা সমাধানই প্রকৃত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য ও প্রধান কাজ যা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কাজের মাধ্যমেই বারবার প্রমাণ করেছে কেননা দেশের জন্য ভালো কিছু করা সম্ভব হলে সেটা বিএনপিই পারবে আর কেউ নয়। অতীতেও উন্নয়ন বিএনপি করছে সামনেও জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন বিএনপিই করবে, ইনশাআল্লাহ। তাই দেশের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তারুণ্যের অধিকার রক্ষার সমাবেশে দলে দলে যোগ দিন, সফল করুন।
সুলতান আহমেদ রাহী
আহ্বায়ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
