নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ঢাকার ধানমন্ডিতে এক কনভেনশন হলে ‘বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা’র আলোকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী অনলাইন একটিভিস্টদের করণীয় শীর্ষক’ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব জনাব মোহাম্মদ ইসমাইল জাবিউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব শহিদুল ইসলাম বাবুল।
ভিডিও বার্তা প্রদান করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মিডিয়া সেলের সদস সচিব জনাব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। অনলাইনে ভিডিও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জনাব এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুল আফরোজ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জনাব আমিরুজ্জামান শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব দুলাল হোসেন সহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আবু রুশদ, মেজর (অব:) সাইদ। মিডিয়া সংস্কার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অনলাইন এক্টিভিস্ট এবং প্রকাশক জনাব আবু বক্কর ছিদ্দিক রাজু, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ডা: মোঃ মোজাহারুল ইসলাম শাওন।
অনলাইন এক্টিভিষ্টদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনাব এম. হাফিজ উল্লাহ, জনাব কে এম নাজমুল হক, এডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা, সাইফুল ইসলাম, সোনিয়া আক্তার স্মৃতি জনাব ফসিউল আলম, জনাব শিপন আহমেদ, জনাব মাতবর তৌফিক, মেজবাহ শিমুল, হুমায়ুন কবির অর্ক, তাইফুর রহমান, কেএম হারুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য জনাব ইসমাইল জাবিউল্লাহ বলেন- দেশ এবং দেশের রাজনীতি এখন বিরাট এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল বিএনপির উপর দায়িত্বও এবং দেশবাসীর প্রত্যাশাও অনেক বেশি। কিন্তু স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপি এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। বিগত বছরগুলোতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়ণে অসংখ্য অনলাইন এক্টিভিস্ট গুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ তিতিক্ষার জন্যই বিএনপি এখনো একমাত্র রাজনৈতিক দল, যাদের উপর জনগণ ভরসা রাখেন। সেই সাথে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সবরকম সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন- “অনলাইন এক্টিভিস্টদের যথাসময়ে মূল্যায়ন করা হবে। আপনারা সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লেখালেখি অব্যাহত রাখবেন। বিএনপির সব সময় মিডিয়া ট্রায়েলের শিকার হয়ে আসছে। অনলাইন এক্টিভিস্টগণই বিএনপির প্রকৃত মিডিয়া।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য অনলাইনে অতীতের ন্যায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছিলেন সেই একই ভাবে আরো জোরালো ভাবে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন। ২০২৩ সালেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে জুলাই অভ্যুত্থানের বিজয়ী শক্তির একতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই নীতির আলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার মোকাবিলার ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম বাবুল ২০০৬ সাল থেকে সামহোয়্যারইন ব্লগে ব্লগার দাসত্ব, ধীবর, জুলভার্ন সহ অনেক ব্লগারদের সাহসী লেখালেখির কথা তুলে ধরেছেন। সেই সাথে ফেসবুকে জেড ফোর্স সাইবার ট্রুপার্সদের ভুমিকা কৃতজ্ঞতার স্মরণ করে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং এই মহতী আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট লেখক অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট জনাব হুমায়ুন কবির (জুল ভার্ন), উইলিয়াম ব্লেক ও মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।