ভোরের খবর ডেস্ক: আবহাওয়া পঞ্জিকা অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল। তবে এবার এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় ছিল। গত বুধবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের ৪৫টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। চলতি বছরে দেশে এত বড় অংশজুড়ে তাপদাহের বিস্তার দেখা যায়নি। থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, তাপমাত্রা অনেক বেশি ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ সব বিভাগেই তাপপ্রবাহ আছে। এখন যেভাবে তাপপ্রবাহ বইছে, তা অন্তত তিন দিন থাকতে পারে। যদি বায়ুপ্রবাহের বিশেষ কোনো পরিবর্তন না হয় তবে এমনটা চলতে থাকবে। ১২ মে থেকে তাপপ্রবাহ কমতে পারে।গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জ জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহের খবর দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৃদু এই তাপপ্রবাহ আরও ছড়িয়ে পড়ার আভাস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতবিার রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারি, রাজারহাট, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার পাশাপাশি ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি রাজধানীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭