স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের বিয়ানীবাজার ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৯ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। এরমধ্যে বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে ফের পুশইন করে তারা। বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তের নওয়াগ্রাম এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। বিজিবি তাদের আটক করে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বেশির ভাগের বাড়ি নড়াইল জেলায়। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা এবং ৮ জন শিশু রয়েছে। এর আগে গত ২৫শে মে একই সীমান্ত দিয়ে আরও ৩২ জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
আটককৃতরা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কেরামত শেখ (৬০), রমেছা বেগম (৫৫), বিষ্টুপুরের কুলছুম শেখ ((২০), ওমর শেখ (২ মাস), নড়াগেতির জহুরা বেগম (৬০), সোহাগী বেগম (৩২), সিদ্দিক শিকদার (১৮), সুমাইয়া বেগম (১১), রাফি শিকদার (৯), হাসান শিকদার (৩), কালিয়া উপজেলার জুয়েল শাহানুর শেখ (২৮), মরিয়ম খাতুন (২৫), আমেনা খাতুন (৮), আনার শেখ (২ মাস), তাছলিমা বেগম (৩৫), ইয়ামিন (১৭), ইয়াসিন (৫), ইয়াকুব (৪), রোকসানা (৩৫), গোপালগঞ্জের আজগর আলী (৪০) ও ইতি বেগম (৩৬)। তারা সবাই ভারতে দিনমজুরের কাজ করতেন।
বিজিবি জানায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের টহলদল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় তাদের আটক করে। পরে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ‘আটক সবাই বাংলাদেশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান বলেন, ২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথায়থ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই সীমান্তের ৯৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় তারা। পরে কাশিপুর ক্যাম্পের বিজিবি’র সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে দুপুরে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেন। পুশইন হওয়া ওই ৯ জন হলেন- মো. বাইদুল হক (৬০), তার স্ত্রী মোছাঃ আমিরন বেওয়া (৪৬) মেয়ে রুমি খাতুন (২১) জামাই আপেল (৩০) নাতি হৃদয় (৩), মোছাঃ মিনা বেগম (৩২) স্বামী জয়নাল হক তার মেয়ে জুঁই (১০) মীম (০৭) এবং নুর হামিদ (৭) পিতা মো. আমিনুল হক সকলের বাড়ি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহিদ জানান, ভারতীয় খেতাবের কুটি ও ঝিকরী ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে আমরা টহলরত বিজিবি’র সদস্যরা তাদেরকে আটক করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করি। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, দুপুরে বিজিবি পুশইন হওয়া ৯ জনকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করা হয়েছে। পরে সকলের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের জিম্মায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।