মো: শাকিল শেখ (সাভার ও ধামরাই) প্রতিনিধি: শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ আব্দুল মজিদ (১৪) নামের এক কিশোরের সন্ধান এখনো মেলেনি।বুধবার (২১মে) বিকালে নিখোঁজের পরিবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসব তথ্য দেন। এরআগে মঙ্গলবার সকালে এবিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজের বাবা।গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার চরচরিতা বাড়ি নিখোঁজের গ্রামের বাড়ি। আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট আয়নাল মার্কেট এলাকায় নাসিরের ভাড়া বাসায় মা-বাবার সাথে থেকে দিন মজুরের কাজ করতো।
তার মা-বাবা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত ১৬ই জুন সকাল ৭টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে কিশোর মজিদ আর ফিরে আসেনি। নিখোঁজের সময় তার পড়নে ছিলো কালো ফুল হাতা শার্ট ও মাইটা রংয়ের গ্যাবাডিং প্যান্ট ও গায়ের রং শ্যামলা।নিখোঁজের বাবা আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, ১৬ ই জুন সকালে আমার ছেলে বাসা থেকে বের হয়ে, আর ফিরে আসেনি। নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন আগে প্রতিবেশী ফার্মেসী দোকানদার এর ছেলে আরাফাত আমার ছেলেকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওইদিন আমার ছেলে মজিদ বাসায় আসার পরে সে কই গিয়েছিল জানতে চাই। আরফাত এর বন্ধুর সাথে পরিচয় করানোর জন্য তাকে নাকি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে সে আমাকে জানায়।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করি। এঘটনায় পুলিশ তদন্ত করতে আসলে আমার ছেলে যে আরাফাত এর সাথে ঘুরাফেরা করতো এই কথা পুলিশকে জানাই। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে আরাফাতের বাবা আমি থানায় কেন জিডি করেছি, এবিষয়ে হুমকি ধামকি দেয় এবং থানা থেকে জিডি না উঠালে আমার বিরুদ্ধে ওল্টো মামলা করবে বলেও হুমকি দেয়। আমার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে আমি আইনের আশ্রয় নিবো এটাই স্বাভাবিক, আরাফাতের বাবাকে না বলে জিডি করলাম কেন এজন্য সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি আমার ছেলের কোন খোঁজ পেলে আমার এই নাম্বারে ০১৯৯৩৫৭৫৯৯৬ যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হইলো।
নিখোঁজের বাবা আমিনুল হক থানায় জিডি করার কারণে তাকে হুমকি দিয়েছেন নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে আরফাতের বাবা বাবুল বলেন, না আমি তাকে কোন হুমকি দেইনি, বলেছি থানায় গিয়ে তাদেরকে সাথে নিয়ে জিডি উঠাবো। তার বাবা জিডি করেছে আপনি থানায় গিয়ে জিডি উঠাবেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবেও তিনি বলেন, না, তার বাবার সাথে কথা হয়েছে আমরা মিলেমিশে জিডিটি উঠাবো বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে জিডি হওয়ার পরে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। তার সন্ধান পেলে আমাদেরকে জানানো হবে। এবং ঘটনাস্থলে এবিষয়ে তদন্তের জন্য আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে। আমিও নিজে গিয়ে তদন্ত করে তাকে পাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।