রফিকুল ইসলাম (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: সাব্বির আঙ্কেল আমারে অনেক মারছে।আমি রাইতে আন্ধারে দেহি কলা বাগানে। আমি ডরাইয়া মারে ডাকলে,আঙ্কেল আমার জামা খুলে মুখে মাধ্যে দেয়।”ঠিক এভাবেই পুলিশের কাছে বর্ণনা দেয় ৭ বছরের শিশু (ছদ্মনাম)খাদিজা আক্তার। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা বাবা ফয়জুল তার মেয়ের এমন লোমহর্ষক কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সখীপুরে কাজ করা পেশায় কাঠমিস্ত্রী ফজলু জানান,ছোট ছেলে-মেয়েকে চোখে চোখে রাখি।সাব্বির আমার এমন ক্ষতি করবে ভাবতেও পারি নাই।আমি এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাব্বিরের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। অভিযুক্ত সাব্বির মিয়া (২১)ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙামাটিয়া টানপাড়া এলাকার আ. মান্নানের ছেলে। সেও সখীপুরে থেকে ইট ভাঙানোর কাজ করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সাব্বির ঐ পরিবারের পূর্ব পরিচিত। গত ২১ এপ্রিল ( সোমবার) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ঘুমন্ত খাদিজাকে তুলে নিয়ে যায় সাব্বির।পরে খাদিজা চেতন পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করার চেষ্টা করলে তাকে মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফজলু সখীপুর পৌরসভার উত্তরা মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন ।
বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন,ঘটনার পর থেকে আমরা শিশুটির খোঁজ পেতে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা চালাই এবং প্রশাসনকে খবর দেই।সাব্বির বিষয়টি টের পেয়ে খাদিজার ঘরের পিছনে ফেলে রেখে চলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ সাব্বিরকে আটক করে। এবিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মো জাকির হোসেন বলেন,অভিযুক্ত সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।