ভোরের খবর ডেস্ক: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
পৌনে ১২টার দিকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বেলা একটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। দুইটার দিকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দিক থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।বেলা সোয়া দুইটার দিকে সিটি কলেজের সামনে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। আর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করে। এর মধ্যেই সড়কে যান চলাচল করে।সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা গেছে পুলিশকে। পরে আবার সিটি কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। বেলা তিনটার কিছু পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের কাছাকাছি চলে আসেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশকে লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে।একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে সিটি কলেজের নামফলক থেকে ঢাকা অংশটি ভেঙে ফেলতে দেখা যায়। হাতে ভাঙা একটি অংশ নিয়ে তাঁরা সড়কে অবস্থান নেন।ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সুজন আলী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সায়েন্স ল্যাব মোড়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের মারধর করেছেন। এর জের ধরেই তাঁরা আজ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। অথচ যারা ওই মারধরে জড়িত, তাঁরা কেউই সিটি কলেজের শিক্ষার্থী নয়। আজ সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা অতর্কিত হামলা করে। তারপর থেকেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের নামপ্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টার পর থেকে দুই কলেজের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তবে ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।এর আগে ১৫ এপ্রিল এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বেলা একটার দিকে বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল, এখন সেটা আর নেই।শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সে সময় জানান নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুল ইসলাম।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭