লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলাধীন রামগঞ্জ উপজেলার কাশিমনগর গ্রামে বির্তকিত সম্পত্তি দখল নিয়ে দু’গ্রুপের ৬ জন গুরুতর আহত হয়। আহত বিল্লাহ হোসেন ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, প্রতিপক্ষ ফাতেমা বেগম, মরিয়ম বেগম, মমতাজ বেগম, লাইলী বেগমকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রামগঞ্জ উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়ীতে এমন ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র আনোয়ার হোসেন বাবুল বিগত ২০২৪ সালের ১৪ মে পার্শ্ববতি গ্রামের উত্তর কালিকাপুর গ্রামের এমদাদ উল্যার ছেলে খোরশেদ আলমের কাছে ৬৫ লক্ষ ২০ হাজার মূল্যে পৌনে ১৮ শতাংশ সম্পত্তি ও নির্মানাধীন ভবনসহ বিক্রি করে। উক্ত ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে রামগঞ্জ থানা,মোহাম্মদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র একাধিক অভিযোগ দায়ের ও গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে সম্পত্তি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বাবুলের বোন ও ভাবীরা সম্পত্তির ওয়ারিশ দাবী করে ভবনে প্রবেশ করে সম্পত্তি ক্রেতা খোরশেদ আলমের ভাই বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে বেধম প্রহার করে এবং বিল্লাল হোসেনের পুরুষাঙ্গ টিপে ধরে রাখে। এ সময় তাদের চিৎকারে বাড়ির ও এলাকার লোকজন উপস্থিত হলে তাদের উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিল্লাল হোসেন বলেন,বাবুলের নির্দেশে তার বোন ও ভাবী পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বসতঘরে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে বেধম প্রহার করে। এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমার পুরুষাঙ্গ টিপে ধরে রাখে। আমার নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দুইজনের হাতে কামড় দিয়ে নিজকে রক্ষা করি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোন মরিয়ম ও মমতাজ বলেন,আমাদের ভাই আনোয়ার হোসেন বাবুল নতুন বিল্ডিং সহ সম্পত্তি বিক্রি করছে ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি বিক্রি করবে কিভাবে জানতে আমরা ওখানে উপস্থিত হওয়ায় মাত্রই বিল্লাল ও ফাতেমা আমাদের ঘরে ভিতর নিয়ে মারধর করে।
সম্পত্তি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, আমি ওয়ারিশদের সম্পত্তি বিক্রি করি নাই। ওয়ারিশ হিসেবে বোন,মা ও ভাবীরা ওই খানে যাওয়া মাত্রই পরিকল্পিত ভাবে মারধর ও দুই বোনকে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জথম করে।