মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে প্রেমিকের সাথে ঝগড়া মেটানোর কথা বলে এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় মূলহোতা নয়ন মোল্লা(২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে টংগিবাড়ী থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। পরে উপজেলার আব্দুল্লাপুরের নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত নয়ন আব্দুল্লাপুর এলাকার মৃত সায়েন মোল্লার ছেলে ও ঘটনার মূল অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে ওই কিশোরীর পরিবার।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়,ভুক্তভোগী ওই তরুনীর সাথে নয়নের একসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে সিয়াম নামের অপর এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে সে।সম্প্রতি সিয়ামের সাথে ঝগড়া হলে ঝগড়া মিটিয়ে দেবার কথা বলে, গত ২৮ মার্চ ওই তরুনীকে বাসায় ডেকে নেয় নয়ন। এরপর জোরপূর্বক সংঘবদ্ধভাবে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
এ সময় ঘটনাস্থলে আগে থেকে লুকিয়ে থাকা নয়নের সহযোগী মো: জীবন শেখ(২০), আপন বেপারীর(১৯), আরমান(১৮), মিরাজ(১৯) বসত ঘরের ভিতড়ে আড়ালে লুকিয়ে থেকে ঘটনা ভিডিও চিত্র নিজেদের মুঠোফোনে ধারণ করেন।এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে বাকিরাও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওই তরুনীকে।
এদিকে ভয়ে ওই কিশোরী তাৎক্ষণিক বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানালেও, গত ১০ এপ্রিল অভিযুক্ত নয়ন রা তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে রাতেই ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে একজনকে।এছাড়া বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আনিসুর রহমান বলেন,এটি একটি পরিকল্পিত ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগের পর রাতেই ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সে ঘটনা৷ কথা স্বীকার করেছে। মূলত অপর ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ক্ষুব্ধ ছিলো নয়ন। এরই প্রেক্ষিতে সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় সে।বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রবিবার দুপুরে অভিযুক্ত নয়ন মোল্লাকে পাঠানো হয়েছে আদালত।