নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)এর ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার ইফতার আয়োজন নিয়ে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক ও সাধারণ চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ।
অভিযোগ উঠেছে,ড্যাবের ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডাঃ রেজওয়ানুর রহমান সোহেল ও কোলোরেক্টাল বিভাগের প্রধান ডাঃ আহসান হাবিব এই চাঁদাবাজির কেলেংকারিতে জড়িয়েছেন । তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক প্রতি ১৫ হাজার, সহযোগী অধ্যাপক প্রতি ১২ হাজার ও সহকারী অধ্যাপক প্রতি ১০ হাজার টাকা চাঁদার হার ধারন করে তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করেছেন ।
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ রেজাউল করিম প্রাথমিকভাবে প্রতিবাদ জানালে ড্যাবের ঢামেক শাখার সভাপতি ডাঃ রেজওয়ানুর রহমান সোহেল ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান তাকে নানা রকম হুমকি ও প্রদান করেছে বলে জানা গেছে ।
বিষয়টি নিয়ে ড্যাবের ঢামেক শাখার সভাপতি ডাঃ রেজওয়ানুর রহমান সোহেল ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, দীর্ঘদিন উপজেলাতে ছিলাম ৫ আগস্ট ২০২৪ইং এর আগে ট্রেনিং দরকার থাকলেও পাইনি । কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢামেকে পদায়নের পর ভেবেছিলাম সব ঠিক থাকবে এখন হুমকি দেয়া হচ্ছে চাঁদা না দিলে আবার বদলি করে দেওয়া হবে । খুবই আতংকে আছি ।
সম্প্রতি স্কয়ার ফার্মাফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে চাঁদা চেয়ে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (ড্যাবের) একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের মাঝে এক প্রকার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তারদের মাঝে কেউ কেউ বলছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনের খরচ মেটাতেই এমন অনৈতিক চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির হাইকমান্ড যখন যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তখন জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের এমন একটি সংগঠনের কতিপয় অসাধু কিছু নেতাদের কর্মকাণ্ডে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে । যদি এখনই এসব চাঁদাবাজ বন্ধে কঠোর না হওয়া যায় তাহলে এর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে । তাই দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ড্যাবের ঢামেক শাখার এই কতিপয় চাঁদাবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ড্যাবের অন্যান্য নেতাদের।