ঢাকাশুক্রবার , ২৮ মার্চ ২০২৫
আজকের সর্বশেষ খবর

আন্দোলনকারীদের উপর মেজাজ হারালেন রেজিস্টার ও প্রোক্টর,সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাধা


মার্চ ২৮, ২০২৫ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফজলে হাসান (রাবি) প্রতিনিধি:  ঈদের ছুটিতে আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কিছু শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এদিকে আন্দোলনকারীদের সাথে প্রশাসনের কেউ সাক্ষাৎ করতে না আসায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান এসে জোরপূর্বক তালা খুলে ফেলেন। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রক্টর এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের উচ্চবাচ্য হলে এক পর্যায়ে রেজিস্টার ও প্রোক্টর মেজাজ হারান। এই ঘটনার ভিডিও করার সময় এক সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাঁধা দিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘এই তুমি ক্যামেরা বন্ধ কর’।

এসময় রেজিস্টার আন্দোলনকারীদের দেন বলেন,
বিকেল সাড়ে ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী ১০-১২ জন শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে হল বন্ধই থাকবে। তবে যাদের বিশেষ সমস্যা, তারা সেটা প্রাধ্যক্ষ পরিষদকে জানাবে। তারা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য যাতে বিশেষ ব্যবস্থা করবে। এটা নিয়ে নতুন ইস্যূ তৈরীর কিছু নেই।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. বায়তুল মোকাদ্দেছুর রহমান বলেন, ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আমি বলতে চাই, তারা যেন প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়। তাদের অনুভূতি আমরা বুঝি। পরবর্তীতে আবাসিক হল বন্ধ রাখা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পার্টিসিপেশন নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের চেষ্টা থাকবে।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে সব হল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। হলের ভিতরে কোনো শিক্ষার্থী নেই। শুধু প্রশাসন ভবনের সামনে ৬-৭ জন আন্দোলন করছে। আমরা এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তেই রয়েছি।

এ সম্পর্কে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন,
৫-৬ জন হলে থাকার জন্য আন্দোলন করছে। এদের মধ্যে রয়েছে চিহ্নিত এক মাদকসেবী! মাদক নেয়ার কারণে হল থেকে বহিষ্ককৃত। অপর একজনের ছাত্রত্ব নেই! তো এরা হলে থাকার জন্য আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলন করুক এটা তাদের অধিকারের অংশ। কিন্ত কথায় কথায় তালা লাগিয়ে মানুষ কে জিম্মি করার এই অপসংস্কৃতি কেন?

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলিফ বলেন, আমাদের দাবি হলো ইদে হল খোলা রাখা। প্রশাসন যদি এ দাবি না মানে তাহলে আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। প্রশাসন নাকি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খুবই চিন্তিত; আমরাতো চাই হল খোলা রেখে আমাদের সমস্যার সমাধান করা হোক। কিন্তু তা না করে নোটিশ দিয়ে জোর করে বের করে দিতে চাচ্ছে।

নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন বলেন, ৯ তারিখ আমার ফাইনাল পরীক্ষা আছে। বাড়িতে গেলো পড়াশোনায় সমস্যা হতে পারে, এজন্য বাড়িতে যাচ্ছি না। আমার মতো অনেকের পরীক্ষা রয়েছে। এছাড়া অনেকে আর্থিক কিংবা পারিবারিক সমস্যার কারণে বাড়িতে যেতে পারছে না। এমনও শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের বাসায় থাকার জায়গা নেই। এজন্যই আবাসিক হল খোলা রাখা একান্ত প্রয়োজন।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।