রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহীতে সাঁকো পার হতে চাঁদা না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় লোকজনের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর পদ্মা গার্ডেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী হাশিম রানা ও ফুয়াদ ইসলাম।পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পদ্মা নদীর চরে বেড়াতে যাওয়ার সময় পদ্মা নদীর পাশ্ববর্তী রাজশাহী মহানগরীর পদ্মা গার্ডেন এলাকায় একটি সাঁকো পার হতে যায়। সাঁকো পার হওয়ার জন্য স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের কাছে জনপ্রতি ১০ টাকা করে দাবি করে। শিক্ষার্থীরা এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোঁটা ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ হামলায় দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের একজন গুরুতর অবস্থায় রামেকের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থোপেডিক্স বিভাগে ভর্তি আছেন ।এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, ‘আজকে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় জরুরী বিভাগে আনা হয়েছিল। তাদের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাশেম নামে আরেকজনকে মেডিকেলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থোপেডিক্স বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তার পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ।’হামলার বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাওসার আলী বলেন, ‘আমরা পদ্মা গার্ডেন এলাকায় একটা সাঁকো পার হচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয়দের একটি দল আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিবো না জানালে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা লোক জড়ো করে।এরপর লাঠিসোঁটা ও রামদা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’শিক্ষার্থীদের উপর হামলা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি সাঁকো পার হওয়ার সময় টাকা দাবি করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয় লোকজন হামলা করেছে। তাদের ভেতর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।’ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, কে বা কারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তা স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো যাবে।’