মো: শাকিল শেখ (সাভার) প্রতিনিধি: শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় (গর্ভবতী গাভী) গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আবুল হোসেন ওরফে মঞ্জু নামের এক মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার বেরন মানিকগঞ্জপাড়া এলাকায় গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। এরআগে, শুক্রবার সকালে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার বিষয়টি এলাকাবাসি জানতে পারে।অভিযুক্ত আবুল হোসেনের বাড়ি নোয়াখালী সদর এলাকায়। আশুলিয়ার বেরন মানিকগঞ্জপাড়ার জাকির হোসেনের ভাড়া দোকানে থেকে মুদি দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি এই গরুর মাংস বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, মানিকগঞ্জপাড়ার মাংস ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ওরফে মঞ্জু পাশাপাশি মুদি দোকানও চালায়। প্রতিমাসেই গরু কিনে এনে জবাই করে মাংস বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু শবে বরাত উপলক্ষে আবুল হোসেন তিনটি গরু কিনে আনেন। এর মধ্যে একটি ষাড় গরু এবং বাকী দুইটি গাভী। দুটি গাভীর একটি গর্ভবতী ছিল। কিন্তু ওই গর্ভবতী গাভীটিও জবাই করেন তিনি। পরে ওই গাভী থেকে একটি বাছুর বের করে স্থানীয় মামুন নামের একজনের বাড়ির পাশেই ফেলে রাখা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় অবহিত করলে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হোসেন ওরফে মঞ্জু বলেন, মামুন নামের তার পাশেই একজন ব্যবসায়ী আছে। তিনিও গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীক হিংসার কারণে তিনি গতকাল শুক্রবার থেকে এলাকায় ছড়াচ্ছেন যে, গাভী গরু জবাই করে বিক্রি করছি। আসলে এরকম কিছুই হয়নি। আমি তিনটা ষাড় গরু নিয়ে এসে জবাই করে বিক্রি করেছি এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান জানান, ঘটনাস্থলে এসে উপযুক্ত কোন তথ্য প্রমাণ পাইনি যে কাজটা মঞ্জু করেছে। বাছুরটি মাটি চাঁপা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবেএবিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিকী জানান, এব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।