ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সিএনজি চালকদের হামলার ঘটনায় ৯০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন জুয়েল বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আটক ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– সোহেল হোসেন (৩৫), সোহাগ হোসেন (২৮), জহির উদ্দিন (৫৫), মহিউদ্দিন (৫০), ইছমাইল হোসেন (৩৫), মোশারেফ হোসেন (৩১), জিয়াউর রহমান বাবু (৩১), শিপন হোসেন (২৬), বেলাল হোসেন (৪৭), মিরাজ হোসেন (২১) ও মো. কামাল মোল্লা (৫০)।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’উল্লেখ্য, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন সিএনজিসহ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার সকাল থেকে শহরের বাগবাড়ির মেঘনা সড়কের মুখে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি সিএনজি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনার জেরে সিএনজি চালকেরা ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুই পুলিশ কনস্টেবল দৌড়ে পাশের হাজি মার্কেটে আশ্রয় নেয় এবং পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সবুজ মিয়া দৌড়ে পালাতে সক্ষম হন। পরে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সিএনজি চালকেরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।