আশুলিয়া প্রতিনিধি ।। সাভারের আশুলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী গণহত্যা মামলার আসামি কুদ্দুস ওর বে কদ্দুর এলাকাবাসী অতিষ্ট।
এলাকাবাসী জানায়, আব্দুল কুদ্দু এলাকায়, জমি দখল, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ও গণহত্যা মামলার আসামি।
আওয়ামী লীগের সময় আব্দুল কুদ্দুস নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে আরিফ মাতবার, কোভিদ সরকার নুরুল আমিন সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সরদার ছিলেন।
৫ই আগস্ট এ এ সকল বাহিনীদের সাথে আশুলিয়ার বাই বাই এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিরীহ ছাত্র জনতার উপরে হামলা করে।
ঘটনায় আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। আশুলিয়া থানা হত্যা মামলা( ৪৫)বাদী নাসির উদ্দিন জানান, আমার ভাই আশরাফুল ইসলাম ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে যোগদেন । এ সময় আওয়ামী লীগের কুদ্দুস বাহিনী ছাত্র জনতার উপর হামলা করে। এ তার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।
এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস সহ আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের নামে মামলা করা হয়েছে। রহস্যজনক ঘটনায় পুলিশ এ মামলায় কোন আসামি কি গ্রেফতার করেননি। জানা যায় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আসামিদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে ঘুরে বেড়াতে সহযোগিতা করে। তাই আব্দুল কুদ্দুস এর মত চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার না করায় হত্যা মামলার বাদীরা আতঙ্কিত রয়েছেন ।
গোরাট এলাকার লোকজন জানায়,
আব্দুল কুদ্দুস আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গরুর ট্রাক ডাকাতি, ইয়াবা ব্যবসা, সন্ত্রাসী নিয়ে অন্যের জমি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। কাশিমপুরে তার রয়েছে এক বিশাল বাহিনী।
কাশিমপুরবাসী জানায়, কাশিমপুরের সাধারন জনগণ তার ভয়ে সব সময় আতঙ্কিত থাকেন।
আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে এলাকায় বলে বেড়ায় আশুলিয়া থানার ওসি আবু বক্করকে সে রীতিমতো মাসোহারা দিয়ে থাকে। হত্যা মামলা হলে কি হয়, ধার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় যে হত্যা মামলা হয়েছে এ মামলার এই কর্মকর্তা এসআই মজিবর কে সে ম্যানেজ করেছেন। তাই আশুলিয়া থানা পুলিশ তাকে একদিন খুঁজতে ও আসবে না।
৭৮ নং মামলার বাদী রইস উদ্দিন জানান, আব্দুল কুদ্দুস, তার বাহিনী নিয়ে বাই পাইল এলাকায় তান্ডব চালিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্র জনতাকে আহত করে।
এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য তাকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান তিনি।