ঢাকারবিবার , ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

৮ ডিসেম্বর ভালুকা হানাদার মুক্ত দিবস


ডিসেম্বর ৮, ২০২৪ ২:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:  ৮ডিসেম্বর ভালুকা পাক হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১সালে ১৭এপ্রিল ১টি মাত্র রাইফেল ও ৮জন সদস্য নিয়ে মুক্তি বাহিনীর একটি গেরিলা দল গঠন মেজর আফসার উদ্দীন।পরবর্তীতে ভালুকা থানা দখল করে ১৫/১৬টি রাইফেল ও প্রচুর গোলাবারুদ সংগ্রহ করেন। ৮সদস্যের দলটি পরবর্তীতে প্রায় সারে ৪হাজার মুক্তিযোদ্ধার বিশাল বাহিনীতে রুপ নেয়। এফ জে ১১নং সেক্টরের ময়মনসিংহ সদর দক্ষিণ ও ঢাকা সদর উত্তর সাব সেক্টর অধিনায়ক মেজর আফসার ব্যাটেলিয়ন নামে পরিচিতি লাভ করে।যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার রমজান আলী তরফদারের তত্বাবধানে ৫জন ডাক্তার ১০জন সহকারী চিকিৎসক ও ৪জন নার্সের সমন্বয়ে আফসার ব্যাটেলিয়ান হাসপাতাল নামে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল পরিচালিত হয়।৭১এর ২৫জুন শুক্রবার সকাল হতে ভালুকা গফরগাঁও সড়কের ভাওয়লিয়াবাজু নামক স্থানে শিমুলিয়া নদীর পাড়ে পাক বাহিনীর সাথে আফসার বাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হন। দীর্ঘ ৩৬ঘণ্টা একটানা যুদ্ধ স্থায়ী হয়। শুক্রবার শুরু হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাক বাহিনী চারিদিকে পানি বেষ্টিত নদীর পূর্বপারে গোয়ারী যোগীপাড়া নামক স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।শুক্রবার সারাদিন সারারাত তিন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে অনেক পাকসেনা নিহত হয়। পরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে যুদ্ধক্ষেত্রের ৪কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ধলিয়া গ্রামে ধলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে পাকসেনা নামিয়ে দিলে মুক্তিযোদ্ধারা ডিফেন্স ছেড়ে চলে আসেন। এই যুদ্ধে আফছার বাহিনীর তরুন যোদ্ধা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মল্লিকবাড়ি গ্রামের আ. মান্নান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মজিবর রহমানসহ আহত হন আরও ৫জন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধারা নদীর পশ্চিম দিক হতে একটানা দু‘দিন সম্মুখ যুদ্ধ করায় শতাধিক পাক সেনা নিহত হয়।ঐতিহাসিক ওই যুদ্ধের খবর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে ফলাও করে সম্প্রচার করা হয়। এই যুদ্ধের পরে ভালুকা থানা ও বাজার এলাকায় পাক বাহিনীর ক্যাম্পটি শক্তিশালী করা হয়।আফসার বাহিনী যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে একাধিক বার ভালুকা পাক হানাদার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়েছে। এছাড়া আমলীতলাযুদ্ধ, বল্লা যুদ্ধ, ত্রিশাল, গফরগাঁও, ফুলবাড়ীয়া, শ্রীপুর, মল্লিকবাড়ি, মেদুয়ারীসহ বিভিন্ন স্থানে পাকসেনা ও রাজাকারদের সাথে আফসার বাহিনীর অসংখ্য যুদ্ধ হয়। দীর্ঘ ৯মাসের বিভিন্ন যুদ্ধে ৪৭জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।