স্টাফ রিপোর্টার: চর পোড়াগাছা, চর বাদামের এবং চর আলগী ইউনিয়নের একাংশ এলাকা বছরের বেশীরভাগ সময় জলাবন্দী থাকে। মানুষ মরে গেলে কবর দেয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। আর ভূমিহীনদের জন্য মৃত্যুর পর কবরস্থান খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তখন মরদেহ মাটির উপর পড়ে থাকতে অনেক সময়। এজন্য উপজেলায় গণকবর নির্মাণ আমাদের জন্য বিশাল গণমূখী কল্যাণকর ও সাহসী প্রকল্প কথাগুলো বলেছিলেন স্থানীয় তুহিন আহমেদ নামের এক যুবক।জানা যায়,২০২৩-২৪ অর্থবছরে উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে অতিদরিদ্র কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় গণগোরস্থানের অবকাঠামো নির্মানের জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করে রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। অতিদরিদ্রপ্রবণ দূর্গত এলাকা হিসেবে সাহসী গণমূখী ওই প্রস্তাবনা গ্রহণ করে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন।স্থানীয়রা জানায়, চরম জলাবদ্দতায় এবং এবারের বানের পানি এই ভুলুয়া নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক জায়গা দিয়ে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় নব নির্মিত গলকবরটি।অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরসীতা গ্রামকে পাইলট গ্রাম হিসেবে গ্রহন করে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ওই এলাকার সিডিএসপি কলোনী সংলগ্ন সরকারের ২৪ একর খাস জমির উপর একটি খেলার মাঠ নির্মান ও স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে গণকবরস্থান নির্মানের জন্য ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় ভুমিহীনদের বাঁধা- বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক প্রভাবে সেখানে বারংবার গণকবর নির্মাণ করতে গিয়েও নির্মাণ করা যায় নাই।এতে ইউএনও চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম, স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্যগণ সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেও ভূমিহীন ও রাজনৈতিক শক্তির চাপে চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব চরসীতা গ্রামে গণকবরস্থান নির্মাণ থেকে সরে আসেন তারা।বর্তমানে চরবাদাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিনামাঝির খেয়া নামক ভুলুয়া নদীর পাড়ে গণকবরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়।প্যানেল চেয়ারম্যান তাওহীদ রাব্বানী তুহিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা যথাসাধ্য চেস্টা করেছি। সিডিএসপি কলোনী সংলগ্ন এলাকায় করার জন্য কিন্ত স্থানীয় ভূমিহীনদের বাঁধার সেখানে করা যায় নাই।ইউপি সদস্য আব্দুস সহিদ বলেন,এই গণকবরস্থানটি কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করে সর্বশেষ এখানে দেওয়া হয়েছে। আমরা মাটির কাজ করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। এটা জনকল্যাণমূলক সাহসী পদক্ষেপ।প্রকল্পের সেক্রেটারী মাহফুজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে সিডিএসপি কলোনিতে স্থান নির্ধারণ করা হয়। ভূমিহীনদের বাঁধায় সেটা পরিবর্তন করে খালপাড়ে নেওয়া হয়। পরে ভুলুয়া নদীর পাড়ে নেওয়া হয়। সেখানে মাটির কাজ করে সাইনবোর্ড দেয়া রয়েছে।চরবাদাম ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম বলেন,গত বছর এ প্রকল্পের কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলন করা হয় তখন আমি হাসপাতালে ছিলাম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় আমি হজ্বে ছিলাম। বন্যার কারণে বা বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গেলে অথবা কাজের কোন ক্ষয়ক্ষতি বা ত্রুটি থাকলে সংস্কারের সুযোগ রয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, যেহেতু প্রকল্পটি ২০২৩-২৪ বছরের সেহেতু বন্যায় বা অতিবৃষ্টিতে গণগোরস্থানের মটির কাজের কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে কাজ সম্পুর্ন করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।