মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী জোনাল অফিসের ইলেক্ট্রিশিয়ান ওয়াহিদ এর বিরুদ্ধে মিটার ও খুটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের রাউৎভোগ গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম শেখ এর অটোগ্যারেজ এর মিটারের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন ওয়াহিদ। অথচ ২০ কিলো ওয়াট এর মিটারটির আবেদনের রশিদে জামানত ফি ১৯২০০ টাকা উল্লেখ্য আছে। একই ভাবে টঙ্গীবাড়ীর শেখ এন্টারপ্রাইজ রাইজমিলের প্রোপাইটার মো: তাইজুল ইসলাম জাহিদ এর ১৫কিলো ওয়াট এর মিটারের জন্য ৯০ হাজার টাকা নেন ওয়াহিদ। অথচ আবেদনকারী তাইজুল ইসলাম জাহিদ কে ১৪৫০০ টাকার একটি রশিদ দেয় টঙ্গীবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ অফিস। তৈয়ব আলি নামের ধীপুরের আরেক গ্রাহকের থেকে ভুয়া ডিজাইনসিট দিয়ে ৬০ হাজার টাকা নেয় এই ওয়াহিদ। খোজ নিয়ে জানাগেছে, ওয়াহিদ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের মারিয়ালয় গ্রামের সুরুজ শেখ এর ছেলে। সে স্থানীয় হওয়ায় বিগত দিনে টঙ্গীবাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৫-১৭ বছর ধরে টঙ্গীবাড়ী জোনাল অফিসের ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে আছেন। আর এই সুবাদেই গ্রাহকদের থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে মিটার ও খুটি বানিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি ফি তে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা বলেন, আবেদনের পর মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও মিটার ও খুটি পাইনি। অথচ যারা ওয়াহিদ কে ঘুষ দিতো তাদের কাজ অল্প দিনেই হয়ে যেতো। তাই বাধ্য হয়েই বাড়তি টাকা ঘুষ দিয়ে সেবা নিতে হতো। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওয়াহিদ কে ফোন দিলে তিনি জানান,আমি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলবো।টঙ্গীবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নুরে আলম ভূইয়া জানান, এধরণের কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭