উপজেলা প্রতিনিধি: সাভারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত পরিবারের দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি হাফেজ নুর ওরফে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার না করে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরে এসেছে পুলিশ। তবে হেফাজতে ইসলামির নেতাকর্মীদের বাধার মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে।বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাভার সার্কেলের মো.শাহীনুর কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,হেফাজতে ইসলামির নেতাকর্মীদের বাঁধার কারণেই আসামী নূরকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।এরআগে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুর সংলগ্ন জমজম নূর সিটিতে হত্যা মামলার আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে আসে পুলিশ।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতা হত্যার আসামি ও জমজম নূর সিটির মালিক হাফেজ নুরকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। তবে সেখানে কিছু মুসল্লির বাধার মুখে পড়ে আসামির সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসে পুলিশ।এব্যাপারে ট্যানারি ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির বলেন, আমাকে স্যার বলছিলেন, সার্কেল স্যার ওসি স্যার হাফেজ নূরের সঙ্গে কথা বলবেন, খবরটা তাকে দিতে। আমি আবাসন প্রকল্পে গিয়ে হাফেজ নুরকে বলে আসলাম। আমি সেখানে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম পরে থানা থেকে মিলন স্যার, অপারেশন স্যার এসেছিলেন। পরে আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। আমি একবার আসছিলাম পরে সন্ধ্যায় আবার গিয়ে দেখি গেটে হাফেজ নূরের অনুসারীর জটলা।এ ব্যাপারে জমজম নূর সিটির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, থানা থেকে পুলিশ এসেছিল, হাফেজ নূর স্যারের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। সন্ধ্যায় একটু ঝামেলা হয়েছিল। বর্তমানে কোনো ঝামেলা নেই।এবিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, এ ঘটনা আপনি কার কাছে শুনেছেন? আপনি থানায় এসে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।এবিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাভার সার্কেলের মো.শাহীনুর কবির মুঠোফোনে বলেন, মুলত জমজম নূর সিটির মালিক হাফেজ নুরকে গ্রেপ্তারের জন্যই সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু সে-সময়ে হেফাজতে ইসলামির নেতাকর্মীরা বাঁধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে আসামি নূর পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় সাভার থানায় বেশ কিছু মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার। হাফেজ নুর সাভার থানায় দায়েরকৃত ছাত্র জনতা হত্যার ৪ নম্বর মামলার ৯৭ নম্বর আসামি। এ আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরে আসে পুলিশ।