স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে দীর্ঘ ৬ বছর পরে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এতে অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি সহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ১৪ ই নভেম্বর ২০২৪ইং কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরেই ফুসে উঠেছে পুরো সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সমর্থকেরা। দফায় দফায় প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকালে করমজা সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ডে ঝাড়ু মিছিল ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকারের কুশপুত্তলিকা দাহন করে ভিপি শামসুর রহমানের সমর্থকেরা। তারপর শনিবার সাঁথিয়া কলেজ মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত হয় উভয় পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। এরপর রবিবার বিকালে ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে ভিপি শামসুর রহমানের সমর্থকেরা নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে উক্ত আহ্বায়ক কমিটি স্থগিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সাথে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিপি শামসুর রহমানের সাথে বৈঠক হয়। এ সময় তিনি বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে যদি দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং বিষয়টি নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে কথা বলা হবে। আগামী ২৩শে নভেম্বর পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সহ জেলার অন্যান্য নেতাদের ডাকা হবে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আজ থেকে নব-গঠিত কমিটি সহ সকল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে বলা হল। নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটি কোন কার্যক্রম চালাতে পারবে কিনা বলে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত কোন কার্যক্রম করা যাবে না।উল্লেখ্য, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাঁথিয়া উপজেলার ভিপি শামসুর রহমান ও তার সমর্থকেরা ছাড়াও বেড়া ও ঈশ্বরদী উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।