শহীদুল ইসলাম শহীদ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায়র গ্রাম অঞ্চলের কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলার বামনডাঙ্গা,সর্বানন্দ,ধোপাডাঙ্গা ও রামজীবন ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়,গত ১০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে উপজেলার এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কলা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি বাড়ির আশে পাশের জমি থেকে শুরু করে ভিটে মাটিতে কলার আবাদ লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার এসব ইউনিয়নে কলা আবাদের সংখ্যা বেশি। উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের নুর ইসলাম মিয়া জানান,সব ধরনের জমিতে শাক-সবজি ও কাঁচা তরী তরকারি ফসলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে কলা চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে তাদের ফসলি জমিতে অন্য ফসলের মতো কলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। স্থানীয় ভাবে কলা চাষের ধরন হচ্ছে কাঁঠালি কলা,মালভোগ ও সাগর কলা চাষ হয়ে থাকে। তবে এগুলোর মধ্যে সাগর ও কাঠালি কলা চাষ বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা এসব জাতীয় কলা কৃষকরা খুচরা ও পাইকারি ভাবে বিক্রি করছেন। উপজেলার পৌর শহর সহ অন্যান্য হাটবাজারে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সাগর কলা। কলা চাষী মোজাহার মিয়া জানান,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জাতের গলা উৎপাদন করা হলেও সাগর কলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কলা উৎপাদনের পাশাপাশি অন্যত্র থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বাজারে মালভোগ কলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদন ও মূল্যে অপ্রতুল। তবে এই উপজেলায় চিনি চাম্পা কলা উৎপাদন করা না হলেও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আমদানি করে ব্যবসায়ীরা। হাটে-বাজারে মালভোগ কলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা ও সাগর কলা ২০-৩০ মুল্যে বিক্রি করছে কৃষকরা। তবে আটিয়া কলা চাষ না করেও এমনিতেই উৎপাদন হয়ে থাকে। বাজারে এর চাহিদা অনেক কম থাকায় ক্রেতাদের মূল্য গুনতে হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাশিদুল কবির জানান,কলা চাষের উপযুক্ত সময় সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস। জমিতে কলার চারা লাগানোর পর থেকে ৯ থেকে ১০ মাসের মধ্যে কলা বের হতে শুরু করে। আর ১১ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তা বিক্রি করা শুরু সম্ভব হয়। প্রতি চুরি কলা কৃষকরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করে থাকেন কৃষকরা। তিনি আরো জানান কলা চাষে কৃষকদের কোন প্রকার কীটনাশক ও সার প্রয়োগের ঝামেলা নেই। তবে সামান্য পরিচর্যা পেলে এমনিতেই কলা গাছ বেড়ে ওঠে। তবে কলা গাছ নুয়ে পরা রোধে বাঁশের খুটি ব্যবহার করতে হয় কৃষকদের।