স্টাফ রিপোর্টার: পাবনার সাঁথিয়ায় দীর্ঘ ৬ বছর পরে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অভিযোগ করা হচ্ছে এই কমিটিতে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের মাঠের রাজনীতির সাথে জড়িত মোঃ শামসুর রহমান ওরফে ভিপি শামসুর রহমানের প্রতি রাজনৈতিক অবিচার করা হয়েছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। ঘোষণাকৃত এই আহ্বায়ক কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় বিক্ষোভ মিছিলও করেছে তার সমর্থকেরা সহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।অভিযোগ করা হচ্ছে, আহ্বায়ক কমিটিতে যাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে তারা কেউই দলের অসময়ে সাঁথিয়ায় রাজনীতির মাঠে ছিলেন না। তার মাঝে আহ্বায়ক খায়রুন নাহার খানম মীরু তিনি অন্য উপজেলার বাসিন্দা। আর সদস্য সচিব তিনি দীর্ঘদিন একজন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসার ন্যায় এই কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে উপজেলার নেতাকর্মীরা। অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ঝাড়ু মিছিল ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের কুশপুত্তলিকা দাহন করেছে বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা।এ বিষয়ে, করমজা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মজনু বলেন, আমরা ভিপি শামসুর রহমানের কাধে কাধ রেখে হাতে হাত রেখে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তখন শামসুর রহমান ছাড়া কোন নেতাকেই আমরা কাছে পাইনি। আজকে তাকে মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা এটা হতে পারে না। বিএনপিতে ঘুষখোর ও দূর্নীতিবাজদের স্থান নেই। আমরা চাই দ্রুত এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হোক।
নব গঠিত সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব লিখন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে এবং কর্মীদের দূর্দিনে আমরা ভিপি শামসুর রহমানকেই কাছে পেয়েছি। এমন একজন ত্যাগী নেতাকে অবমূল্যায়ন করা হবে তা কল্পনা করা যায়না। আমি মনে করি শামসুর রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ছোড়া অভিযোগের বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।বিষয়টি নিয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, আমরা দফায় দফায় মিটিং করে কমিটি দিয়েছি। তারপর ও আমরা মানুষ যেহেতু ভুল হতেই পারে আমরা বসে সমাধান করে নিব।ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে তিনি জানান, যদি এমন অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ থাকে তাহলে পার্টির উর্ধ্বতন মহলের কাছে দিতে পারে।আমার জানা মতে এটা সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, অনিয়ম, দূর্নীতি আর কমিটি দিয়ে অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে দলের হাইকমান্ডের প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি নেতাকর্মীদের।