ঢাকাশনিবার , ২৬ অক্টোবর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ খবর

সুন্দরগঞ্জে নিত্য পণ্যের দামে দিশেহারা শ্রমজীবী মানুষ


অক্টোবর ২৬, ২০২৪ ৭:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শহীদুল ইসলাম শহীদ,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:  নিত্য পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই চলেছে। এতে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে । সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা,সর্বানন্দ,তারাপুর,দহবন্দ ও রামজীবন ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন অন্যান্য ইউনিয়নের বাজার ঘুরে দেখা যায় পূর্বের থেকে অনেক চড়া দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এ সময় খুচরা মূল্যে আলু প্রতি কেজি ৬৫ টাকা,বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা,পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা , শসা প্রতি কেজি ৮০টাকা , জিংগা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দোন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা,ভেন্ডির কেজি ৬০ টাকা,মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৭০ টাকা,লাউ ছোট প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ বড় প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালা ৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে । অন্যদিকে শুকনা বাজার ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা,রসুন প্রতি কেজি ২৫৪ টাকা,টাকা,মুসুরির ডাউল প্রতি কেজি ১১০ টাকা, বুটের ডাউল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা,সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা , সরিষার তেল প্রতি কেজি ২৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।এ সময় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে ব্যবসায়ীরা বলেন,এখানে আমাদের কারো কিছু করার নাই। আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাইকারি মার্কেট থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসি। ওখান থেকে যে দর নির্ধারণ করা হয় তার থেকে সীমিত লাভে আমরা এখানে খুচরা মূল্যে বিক্রয় করি ।আমরা পাইকারি বাজারে কম দামে ক্রয় করতে পারলে ক্রেতাদের কাছেও কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারি । অন্যদিকে চাউল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগে প্রতি ৫০ কেজি চাউলের বস্তা আমরা বিক্রয় করতাম ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়, এখন আমাদের বাজার মূল্য ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে কারণ পাইকারি মার্কেটে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ক্রয় করি ঠিক তেমন ভাবে সীমিত লাভে খুচরা বাজারে বিক্রয় করি ।এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে একজন দিনমজুর এর সাথে কথা হলে তিনি হৃদয়বিদারক কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার সংসারে আমরা পাঁচজন সদস্য। তিনজন ছেলে পড়াশোনা করে আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজন আমার সংসারে উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি আমি প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না মাসের ভিতর ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ পাওয়া যায়। দৈনিক মজুরি পায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা তারপর ও এখন বৃষ্টির সময় মহাজনের কাজ খুবই কম। সপ্তাহের ৫ দিনের মধ্যে কোনো কোনো দিন কাজ পাই না। ফলে বাজারে নিত্য পণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছে যার কারণে খেয়ে না খেয়ে কোনরকম জীবন যাপন করছি। এ বিষয়ে স্বল্প বেতনের একজন চাকরিজীবীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান,যেভাবে বাজার মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তাতে করে জীবনযাপন করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।