প্রধান প্রতিবেদক: বাউল সম্রাট লালনশাহ দেহ রেখেছিলেন ১৭ই অক্টোবর ১৭৭৪ খ্রি. তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙ্গালী। যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিতি ছিলেন। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক ফকির সাধক। মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। সে অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালন শাহকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার গান উনিশ শতকে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। যা এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে।
ছেঁউড়িয়ায় কুমারখালি কুষ্টিয়ার ফকির লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়িতে ১৩৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বৃহ:স্প্রতিবার থেকে শুরু হয়েছে লালন স্মরণোৎসব। মাজার প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হয়েছে ভক্ত সাধু, লালন অনুসারী, আর দর্শনার্থীরা।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসের শেষ দিন আজ। গতকাল রাতে অধিবাস দিয়ে শুরু করে আজ ভোরে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্যদিয়ে শেষ হবে সাধুদের কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই মহাপুরুষের ১৩৪ তম তিরোধান দিবস। ১২৯৭ বঙ্গাব্দ সালের পহেলা কার্তিক চাদরমুড়ি দিয়ে গান শুনতে শুনতে নশ্বর এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন সাধু-ভক্তদের সাঁইজি। এই দিনটিই তিরোধান দিবস পালন করেন সাঁইজির ভক্তরা।
লালনের এই উৎসবে অংশ নিতে দূর-দূরান্তের লালন ভক্তদের আগমনে এখন মুখরিত ছেঁউরিয়া।
ফকির লালন সাইয়ের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আগত সকল সাধুভক্ত ও দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসন ।