ভোরের খবর ডেস্ক: চমকে গিয়েছেন গবেষকরা। বাইবেলে উল্লেখ ছিল বিশেষ এই গাছের। নাম ‘শেবা’। তবে দীর্ঘদিন আগেই এই গাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ১৯৮০ এর দশকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জুডিয়ান মরুভূমির একটি গুহা থেকে একটি সম্পূর্ণ সুস্থ বীজ আবিষ্কার করেন। কয়েক দশক পরে জেরুজালেমের লুই এল. বোরিক ন্যাচারাল মেডিসিন রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ড. সারা স্যালনের নেতৃত্বে একটি নতুন গবেষণা দল সেই বীজটি রোপণ করেন এবং অপেক্ষা করতে থাকেন যে কী ঘটতে পারে। গবেষকদের বিস্মিত করে পাঁচ সপ্তাহ পরে ওই বীজ থেকে ছোট্ট একটি অঙ্কুর বেরিয়ে আসে। সেই অঙ্কুরের একটি অংশ পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে বীজটি ১০০০ বছর পুরোনো ছিল। অবিশ্বাস্যভাবে, গাছটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি সম্ভবত কমিফোরা গণের উদ্ধিদ। যদিও এর সঠিক প্রজাতি এখনও অজানা এবং সম্ভবত বিলুপ্ত। এটি এখন এক ১০ ফুট লম্বা গাছে পরিণত হয়েছে। উচ্চতার দিক থেকে সমৃদ্ধ হলেও, গাছটিতে এখনও ফুল বা ফল আসেনি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বাইবেল অনুযায়ী, গাছটির নিরাময় গুণ রয়েছে। গবেষকদের মতে, সম্ভবত এটিই সেই শেবা গাছ। হাইব্রিড কৌশল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ‘উলি ম্যামথ’ বা ‘ডোডো’ পাখির মতো বিলুপ্ত প্রজাতিগুলিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। শেবা গাছটির পুনরুদ্ধার সেই বৃহত্তর প্রচেষ্টারই অংশ। এই ধরনের গবেষণা থেকে নতুন নতুন ওষুধ তৈরি বা আধুনিক ওষুধকে আরও উন্নত করতে জেনেটিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে আরও ভাল বোধ তৈরি হতে পারে। ডেনমার্কে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি ভাইকিং-যুগের সমাধিস্থল খুঁজে পেয়েছেন। সেখানে একটি ওয়াগনের মধ্যে এক নারী সহ ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তির দেহ সমাহিত আছে। ওই কঙ্কালগুলি খুব ভালভাবে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তিদের সম্পর্কে আরও বিশদ জানতে, গবেষকরা তাদের ডিএনএ বিশ্লেষণের পরিকল্পনা করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭