নিজস্ব প্রতিনিধি: টেন্ডার দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে, নিজের লোকদের মাধ্যমে অতি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে রাস্তার কাজ করে আসছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সাথিয়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম কাজ কিনে তার কার্য সহকারী দায়েন এর মাধ্যমে বিশেষ করে জিলাল ও খালেককে দিয়ে কাজ করায়। আতাইকোলা, আলোকদিয়ারও একইভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম। ডেপুটি স্পিকার পুত্র আসিফ শামস রঞ্জন তার কার্য সিদ্ধির জন্য এই ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলামকে সাথিয়া উপজেলার এলজিআরডিতে নিয়ে আসে। ধোপাদহ ইউনিয়নের বাবুলের ছেলের কাছে থেকে কার্পেটিং কিনে এনে কাজ করছে এই ঠিকাদার। প্রাইম কোড বালি দিয়ে ঢেকে থিকনেছ মোটা করে দেওয়া হচ্ছে পুরো রাস্তায়। গ্রেডিয়েশন উইক করে সিলকোড মেরে দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছে সবগুলো সাইটে। প্রাইম কোডের রুটিং প্রতি স্কয়ার মিটারে ২.৫ কেজি দেওয়ার কথা শিডিউলে লেখা থাকলেও, তার চার ভাগের এক ভাগও দেওয়া হচ্ছে না। প্রাইম কোডের সিলকোডে যে সামান্যতম বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে, তা রাস্তার পাশের গাছের পাতার দিকে তাকালে বিটুমিনের অনুপাত স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে। আনওয়াশ মাল দিয়ে কাজের কথা থাকলেও ১/৪ পাথরের ওয়াশ মাল দিয়ে কোনোরকম ভাবে কার্পেটিং করা হচ্ছে। ব্লাক স্টোনের পরিবর্তে ভূটানের সাদা পাথর দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে এভাবে কাজ করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ঢালাইয়ের পাথর উঠে অল্পদিনেই গর্ত হয়ে যায়। এলাকাবাসী জানায়, রাস্তার ফ্লোরে একদম পচা ইট বিছিয়ে ফেলে রেখেছিলো দীর্ঘদিন। তা পায়ের চাপেই ভেঙে মিশে গিয়েছে। রাস্তার দুই পাশে এজিংও ব্যবহার করা হয়ে নিম্নমানের নম্বর ইট। কোথাও ৭৫ সে.মি আবার কোথাও ৫০ সে.মি প্রশস্ত করে করা কাজ হয়েছে এজিংএ। এজিং থেকে উচুতে কার্পেটিং করায় রাস্তা অল্প বৃষ্টিতে ধসে যাবে। করমজা কবরস্থানের পাশ দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গ্রামের ভেতরের পায়ে হাটা এসব রাস্তায় চলে না কোনো ভারী যানবাহন। তবুও সারা রাস্তায় বিটুমিন দিয়ে তার উপরে বালি ফেলে প্রাইম কোডের থিকনেছ মোটা করার অপচেষ্টা করছে এই ঠিকাদার। ফলে ময়লা পড়ে বিটুমিন তার শক্তি হারাচ্ছে ও নিচে যেতে পারছে না। ফলে নিচের পানি কার্পেটিং কে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবে। বিটুমিনের ধরন ও তার অনুপাত, কাজের তদারকি কোনোটাই শিডিউলের নিয়মানুযায়ী হচ্ছেনা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।