নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ মামলায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা (৪৫) কে গ্রেফতারের পরদিনই এবার গ্রেফতার হয়েছেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ ফারুক ইব্রাহিম তারেক (৩৫) ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ রেজাউল করিম ভোলা (৪০)।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তারেক ও ভোলাকে দাশুড়িয়ার ভাড়ইমারি থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২ পাবনার সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ ফারুক ইব্রাহিম তারেক ওই ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের মোঃ হায়দার আলী সরদারের ছেলে এবং মোঃ রেজাউল করিম ভোলা একই গ্রামের মোঃ জামির কাজীর ছেলে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট উসামা হুসাইন (২১) নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০০/১২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে আটক করা হলো। তারা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, ঈশ্বরদী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান, যুবলীগ কর্মী সজিব শেখ, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফারুক ইব্রাহিম তারেক এবং দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম ভোলা।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হামলার দায়ে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলোয় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।