পাবনা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের ১১/১ তোপখানা রোডস্হ কার্য্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ও সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠনের এক জরুরী যৌথসভা ১৬’সেপ্টম্বর সোমবার ইন্জিনিয়ার ফয়েজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত বামপন্হী নেতা কমরেড টিপু বিশ্বাস, সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চলমান শ্রমিক কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাডভোকট শিমুল বিশ্বাস। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিকদলের আনোয়ার হোসাইন, এসএসপি’র মোশারফ হোসেন, মোশারেফ হোসেন মন্টু, হারুনুর রশিদ, আব্দুর রহমান, মীর মোফাজ্জল হোসেন, সোহেল সিকদার, রফিকুল ইসলাম পথিক, বাবুল বিশ্বাস, নেক মোহাম্মদ , বাচ্চু ভূইয়া, শ্রমিক দলের রফিকুল ইসলাম, মন্জুরুল ইসলাম মন্জু , এসএসপি’র সোহেল সিকদার, সোহেল রানা সম্পদ,সাইফুল ইসলাম, মওলানা ওমর ফারুক,কাইয়ুম হোসেন, দেবাশীষ বিশ্বাস, ফিরোজ মিয়া, জামিল হোসাইন, একেএম আওয়াল প্রমূখ।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতার গনঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় উল্লেখ করা হয় বিবিএস’এর সরকারি হিসাব মতে বাংলাদেশে ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মচারী।
সভা বিবিএস’এর হিসাবমত সকল শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য, অসংগঠিত শ্রমিক কর্মচারীদের সংগঠিত করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিল্প কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা, ও শ্রমিক কর্মচারীদের নায্য মজুরী প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ও সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদ ভুক্ত ২১ টি শ্রমিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দৃঢ প্রত্যয় ঘোষনা করে।
সভায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত শ্রমিক কর্মচারীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি উদ্বাত্ব আহব্বান জানানো হয়।
সভায় উল্লেখ করা হয় ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হলেও তার অনেক সুবিধাভোগী ও সহযোগী ছদ্মবেশে জুলাই আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের স্প্রিট ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। সভায় আরো উল্লেখ করা হয় গনঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য অনুপ্রবেশ করার অপচেষ্ঠা করছে, তাদের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সভায় সকলকে সতর্কতার আহব্বান জানানো হয়।
সভায় ফ্যাসিবাদের সকল চিহৃ উচ্ছেদ করার জন্য সরকারকে সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে গনতন্ত্র সুসংহত করার জন্য নির্বাচিত সরকার গঠনের আহব্বান জানানো হয়। সভায় শিল্পকারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা ও শ্রমিক কর্মচারীদের নায্য মজুরী আদায়ের জন্য শিল্পাঞ্চল, কল, কারখানা সংশিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক কর্মচারীদের সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।