নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈশ্বরদীতে ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলনে হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ মামলায় ঈশ্বরদী পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান (৪৮) ও যুবলীগ কর্মী সাজিব শেখকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের আলহাজ্ব মোড় থেকে ইউসুফ প্রধান ও শৈলপাড়া এলাকার থেকে সাজিবকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম।
এর আগে এই মামলার ২ নং আসামী প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান শহরের মধ্য অরণখোলা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। আর সাজিব শেখ শহরের শৈলপাড়া এলাকার মো. আব্দুল মতিন শেখের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা কর্মসূচিতে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে সাবেক এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে তার ভাই ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। গুলি করে ৪ জনকে আহত করে, ভাংচুর, লুটপাট করে। পিটিয়ে আরও অন্তত ১৫ জনকে মারাত্নকভাবে আহত করে।
এই ঘটনায় ১৫ আগস্ট ঈশ্বরদীর শৈলপাড়ার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এমপি গালিবকে প্রধান ও শিরহান শরীফ তমালকে ২নং আসামী করে ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান ৭ নং ও সাজিব শেখ ১০নং এজাহারে নামীয় আসামী।
এই মামলার ২ নং আসামী সাবেক মন্ত্রীপুত্র তমালকে র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্প সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদী আলোবাগ এলাকা থেকে বিদেশী একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ডগুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন, মাদকসহ গ্রেফতার করে। এই সময় তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় সাবেক মন্ত্রীপুত্র যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান ও সাজিব শেখ নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছে। এছাড়া অনেকে মামলা হওয়ার থেকে তারা এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছে। মামলার সংশ্লিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।