শহীদুল ইসলাম শহীদ, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে এলোপাতারী মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগী মনিরুজ্জামানের স্ত্রী পারভীন বেগম। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯ টায় মনিরুজ্জামান বাজার থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে তার পথ রোধ করে এলোপাতারীভাবে মারপিট করেন একেই গ্রামের হাবিবুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা গ্রামে। মনিরুজ্জামান ওই গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের পুত্র অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান একেই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের পুত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,পারিবারিক ভাবে দীর্ঘদিন থেকে জমি জমার বিরোধে আদালতে মামলা চলে আসতেছে। সেই রাগে আসামী হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় মনিরুজ্জামানকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসতে থাকে। মনিরুজ্জামান গত শনিবার বাজার থেকে বাড়ীর যাওয়ার পথে হাবিবুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন রাস্তার পাশে কলাবাগান থেকে বের হয়ে তার পথ রোধ করে। কিছ বুঝে ওঠার আগেই তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুড়ি দ্বারা এলোপাতারী ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। মনিরুজ্জামানের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এসময় হাবিবুর রহমান লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যান। সেদিন রাতেই কর্মরত ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাট করেন। সোমবার রাতে পারভীন বেগম থানায় উপস্থিত হয়ে এবিষয়ে অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে অভিযোগ কারী পারভীন বেগম জানান, গত এক বছর পূর্বে আমাদের এই গ্রামের আজহার আলীর পুত্র দুলু মিয়ার ধানের জমিতে হাবিবুর রহমান বিষ দিয়ে পুড়ে দেওয়ায় সময় গ্রামের সকল মানুষ এক সাথে হয়ে আটক করে ৯৯৯ ফোন দিয়ে তাকে আইনের আওতায় ধরিয়ে দেন। সেই মামলায় মনিরুজ্জামান স্বাক্ষী হলে আরো ক্ষিপ্ত হয় হাবিবুর রহমান। কয়েকদিন থেকে সেই মামলায় স্বাক্ষীকে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বলেন হাবিবুর রহমান। এসময় মনিরুজ্জামান আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে অস্বীকার করলে আবারও তাকে হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যান তিনি। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহাবুব আলম বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।