নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মাহসচিব এ্যাড. রুহুর কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও স্বৈরাচারের পোকামাকড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরণের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। স্বৈরাচার আত্মপ্রকাশের জন্য অতিবিপ্লব তৈরির জন্য চেষ্ঠা করছে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরশাসকের দোসররা। তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, দিবসটি নানাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। যারা বাংলা ভাষাবাসি মানুষ রয়েছেন তারা এ দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। আমরা যার সাহিত্য কর্মের মধ্যে পেয়েছি কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঞ্চনা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। তার কবিতায়, গানে, সাহিত্যকর্মে তা ফুটে উঠেছে। তিনি অনন্য বাংলাভাষার প্রধান কবি। একদিকে তিনি যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা বলেছেন অপর দিকে তিনি ছরি প্রেমের কবি। এরকম এক অসাধারণ বৈচিত্রের সম্মেলন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।আপনারা জানেন গত ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন আমাদের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে এক ভয়ংকর স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে । সে আন্দোলনের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে আপনারা শুনেছেন কারার ওই লৌহ কপাট। সে আন্দোলনের মধ্যে শুনেছেন আমরা ঝর্নার মতো চঞ্চল। আপনারা সে আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াইয়ে কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরাএক অর্ভূতপূর্ব শক্তি পেয়েছিলেন নজরুলের গান শুনে, নজরুলের গান গেয়ে। আজও আমাদেরকে প্রেরণা দেয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করতে হবে। আমরা তাই যখন কারাগারে যাই তখন নজরুলের গান গাই। আমরা যখন মিছিল করি তখন নজরুলের গান গাই, আমরা যখন স্লোগান দেই নজরুল আমাদেরকে প্রেরণা দেয়। আমাদের যখন বন্দি করা হয় তখন নজরুলের গান, কবিতা আমাদের উদ্বেলিত করে। বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর একটি দেশ সমর্থন দিয়েছিলো। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করেনি। কিছুদিন আগে সেই দেশ তাদের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলকে ভাসিয়ে দিয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেলেছিলো, গতকাল ১০৯ ফারাক্কা গেট খুলে দিয়েছে। তারা পরিকল্পিত অশুভ উদ্দেশ্যে নিয়ে তারা এ কাজটি করছে। তিনি বরেণ,শুষ্ক মৌসুমে যখন আমাদের পানি দরকার তখন তারা পানি দেয় না, আমাদের ন্যায্য অধিকারটুকু অর্থাৎ যে শেয়ার টুকু পাই তাও তারা দেয় না। স্বৈরশাসকের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশের জনগণ বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো, স্বাধীন শায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো শেখ হাসিনা নিজের কব্জায় নিয়েছিলেন। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশন একটি। সেখানে শেখ হাসিনারএকনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এখনও রয়েছে। প্রশাসনের নানা জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে রয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের দুরীভূত করতে হবে। সত্যিকারের জনগণের শাসন কায়েমের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকূল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জাসাস আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল সহ নেতৃবৃন্দ।