জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের ৪টি থানায় পুলিশের সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। থানাগুলো হলো- সদর মডেল থানা, কমলনগর, রামগতি ও চন্দ্রগঞ্জ থানা। রায়পুর ও রামগঞ্জ থানায় এখনো সেবা কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং ৫-৬ দিন দেরি হতে পারে। আপাতত ধ্বংসস্তুপ পরিস্কার করা হচ্ছে।রায়পুর থানার ওসি তদন্ত আরেফিন সিদ্দিকি সহ আহত ৫ পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিচ্ছেন।এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার রায়পুরের ছাত্রদের সমন্বনয়কে বলেন, যত দ্রুত পার থানার লুট হওয়া অস্রসহ আসবাব পত্র উদ্ধারের ব্যাবস্থা করতে হবে। দুদিন পরে তোমরা চলে যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তখন সেনাবাহিনী অস্র উদ্ধারে অভিযানে নামলে কারও জন্যেই মঙ্গলজনক হবেনা। পরে সমন্বয়ক বলেন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৯টি অস্র, গুলি, মোটরসাইকেল, ল্যাপটপসহ আনসার কমান্ডার নাজমুল হোসেন ও জেলার মনিটরিং অফিসার শওকত হোসেনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টা দিকে রায়পুর থানা পরিদর্শনে আসলে কার্যক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ।এসময় জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানসহ জেলার সেনা কর্মকর্তা, সহকারি পুলিশ সুপার, আনসার বিডিপির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে শুক্রবার বিকালে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে থানার কার্যক্রম চালু করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা পরামর্শ দিয়েছে।পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ বলেন, দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে পুলিশের কর্মবিরতি ছিল। শুক্রবার থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে জেলার ৬টির মধ্যে ৩টির কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর শনিবার আরো ১টি থানার কার্যক্রম চালু হয়। বাকি ২টি থানার কার্যক্রম সহসায় চালু করা হবে। রায়পুর ও রামগঞ্জ থানার কার্যক্রম চালু হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। এ দুটি থানায় ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এতে থানার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।