নিজস্ব প্রতিনিধি: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর লালমনিরহাটে দফায় দফায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘড়-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করা হয়েছে। এমপি এডভোকেট মতিয়ার রহমান ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, বাড়ির মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে পুরে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খানের বাড়িতে ৬ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের পরেই লালমনিরহাটে আনন্দ মিছিল বের হয়ে মিশন মোড়ে জড়ো হয়। পরে সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট-৩ আসনের এমপি মতিয়ার রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পুরিয়ে দেয় গাড়ি। পরে বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকোয়াত হোসেন সুমন খানের কালীবাড়ী শহীদ মিনার বাসভবনে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা দু’ভাবে বিভক্ত হয়ে বাড়িতে আগুন দেয়। আগুন দেয়ার পূর্বে এক গ্রুপে ৭ জন যুবক বাড়ির ভিতরে উপরে উঠে লুটতরাজ শুরু করে। তারা নিচে নামার আগেই অপর গ্রুপ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা আর নিচে নামতে না পেরে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।একজন যুবক ছাদ থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পায়। তাকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ৬ জনকে পরিবারের লোকজন খোজাখুজি করে না পেলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অগ্নিকাণ্ডে পুরে যাওয়া বাড়িতে গভীর রাতে তল্লাশি করে তাদের পুরে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- হাড়িভাঙ্গার মৃত জহেদুল ইসলাম খোকনের পুত্র তম্ময় আহম্মেদ, খাতাপাড়ার লালমনিরহাট সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সাইদুল ইসলাম মিঠুলের পুত্র শ্রাবণ, সেকেন্দার আলীর পুত্র জনি, রেজাউল করিম সরকারের পুত্র মো. রাজিবুল করিম, জিয়াউর রহমানের পুত্র রাদিক হোসেন রিদে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে হামলা চালিয়ে বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও পুত্র রাকিবুজ্জামান আহম্মেদসহ পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুলসহ অনেক নেতার বাড়িতে হামলা চালায়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও আগুন ধরিয়ে দেয়।