রুবেল শেখ: ১৯৭২ সনের ১২ জানুয়ারী(২৯ পৌষ)গাজীপুরের, শ্রীপুর থানার, লোহাগাছিয়া নামের অজ পাড়াগায়ে মাতা মহিউসি নারী, মোসাঃ আমেনা খাতুনের কোল আলোকিত করে ৪ র্থ সন্তান হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করেন তিনি। বাবা ফকির শব্দর আলী আদর করে উনার নাম দেন ‘খালেক’ । খালেক নামের অর্থ হলো আল্লাহর দাস ( আল্লাহর বান্দা)
কে জানতো এই মানুষ টি একদিন হাজারো জ্ঞানে গুনান্নিত হয়ে আজকের ফকির খালেক সাই হবেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই মানুষের দুঃখে কষ্টে মানুষের পাশ্বে দাড়াতেন। যুবক বয়সে তিনি বেশ কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্চে বসবাস করেছেন,সেখানেও তিনি অনেক মানুষের উপকার করেছেন। উনি প্রবাসে থাকার সময় কেউ কোন বিপদে পরলেই, তার কাছে ছুটে যেতেন। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
তিনি দেশে আসার পর বাবার নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। এক সময় দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান পায়। তখন দেখেছি, ওনার কাছ থেকে কোন মানুষ ফিরে যায়নী। যখন যেই মানুষ সাহায্য চাইতে ওনার কাছে আসতো, সবাই কে তাদের চাহিদার চাইতে বেশী দিয়ে দিতেন। তিনি নিজের এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায়, বিভিন্ন মসজিদ,স্কুল,মন্দিরে সাহায্য করেছেন। অাধ্যাতিক জ্ঞান টা ওনার পারিবারিক এবং বংশগত ভাবেই ছিলো।
উনার মায়ের মৃত্যুর পর ৫১দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান করেছিলেন। যেটা এই প্রথম কোন সন্তান তার মায়ের জন্য একটানা ৫১ দিন পর্যন্ত ধর্মীয় এবং আধ্যাত্বিক আলোচনার অনুষ্টান হয়েছে। ঐ অনুষ্ঠানে ওলামায়ে কেরামগন উপস্থিত হয়ে আলোচনা করেছেন।একটা সময় তিনি তার সমস্ত্য ব্যবসা বানিজ্য ছেরে দিয়ে,মানুষের আত্মার আরও কাছাকাছি চলে আসেন। মানুষের কল্যানে কাজ করতে।
“মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি” মহাত্মা লালন সাইজীর এই বানী নিজের মধ্য ধারন করে। মানুষের আত্ত্যিক সুন্দর্য টাকে ফুটিয়ে তুলতে। সত্য এবং সু- পথে মানুষ কে দাওয়াত দিতে চলে আসেন আধ্যাতিক জগতে। কুষ্টিয়ার লালন সাইজীর লালন একাডেমীর শিক্ষক গুরুজী আক্কাস সাইয়ের হাতে নিজেকে সপে দিয়ে। মহামানব মহাত্না ফকির লালন সাইজী কে বুকে ধারন করে। আজ উনার পথচলা।
তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,সামজিক,সংগঠন থেকে শত শত সন্মাননা পেয়েছেন। আজ উনার হাজারো ভক্ত অনুসারী। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাধুর বাজার। প্রতিবছর ১৪,১৫,১৬ ই মার্চ হাজার হাজার ভক্ত অনুসারী দের নিয়ে উৎযাপন করেন,বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম লালন স্মরনোৎসব,ব্যক্তিগত জীবনে ওনি দুই কন্য সন্তান এবং এক পুত্র সন্তানের জনক,স্ত্রী,সন্তান, ভক্ত,অনুসারী নিয়েই তিনি বাস করছেন উনার জগতে।
তিন দিনের তিন মরম জেনে,
রসিক সাধলে ধরে তা একদিনে।।
অকৈতব সে ভেদের কথা
কইতে মৰ্মে লাগে ব্যথা
আবার না কৈলে জীবের নাহিক নিস্তার
কয় সেইজন্যে :
তিনশ’ ষাট রসের মাঝার
তিন রস গণ্য নয় রসিকার
সাধিলে সে কারণ এড়াইবে শমন
এ ভুবনে।।
অমাবস্যা প্ৰতিপদ
দ্বিতীয়ার প্রথমে সেত
অধীন লালন বলে, তাই তার অগমন
সেই যোগের দিনে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭