নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধ খোলার কারণে বাংলাদেশের কিছু অংশে বন্যা হচ্ছে বলে যে প্রতিবেদন উঠে এসেছে তা অস্বীকার করেছে ভারত। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন বাংলাদেশে বন্যার বিষয়ে যে ভিডিও ছাড়ানো হচ্ছে তা গুজব। এগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করে ভারত সরকার। জয়সওয়াল আরও দাবি করেছেন, বাঁধ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। অতীতেও ভারত যেমনটি করেছে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি বলে দাবি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্রের। বাংলাদেশের বন্যা সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ফারাক্কা বাঁধ খোলার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেছি, যা গঙ্গা/পদ্মা নদীতে তার প্রাকৃতিক প্রবাহপথে নদ তে ভাটিতে ১১ লাখ কিউসেক জল যেতে দেবে বলে জানানো হয়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা, যা বর্ষার সময়ে ঘটে থাকে।’ বাঁধ এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘এটা বুঝতে হবে যে, ফারাক্কা কেবল একটি ব্যারেজ, বাঁধ নয়। যখনই জলের স্তর উঠে আসে, তখনই এই ঘটনা ঘটে। এটি শুধুমাত্র ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক জল প্রবাহিত করার জন্য একটি কাঠামো। যা প্রধানত গঙ্গা/পদ্মা নদীর উপর গেটগুলির একটি কর্মপদ্ধতি ব্যবহার করে সাবধানতার সাথে করা হয়। পানি বাংলাদেশের প্রধান নদীতে প্রবাহিত হয়।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯ লাখের মতো পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেছিল ভারতে।