ভোরের খবর ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের গেট ভেঙে ১০৪ জন বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ই আগস্ট) বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি চালিয়েছে কারারক্ষীরা। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পৌঁছে জেলা কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। কারা সূত্র জানিয়েছে, ১০৭ জন বন্দি পালিয়েছে। কুষ্টিয়ার জেল সুপার আঃ বারেক বলেন, ভেতরে দুপুরের খাবার ও গণনা শেষ করে অফিসেই নামাজ আদায় করছিলাম। নামাজ শেষ করে উঠতেই হঠাৎ কারাগারের ভেতর থেকে চিৎকার ও অভ্যন্তরীণ গেটে আঘাতের শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি অন্তত ৩শ জন’ সংঘবদ্ধ হয়ে ভেতর থেকে একসঙ্গে গেটে ধাক্কা দিচ্ছে। এতে গেটের হেজবোল্ড ভেঙে যায়। এ সময় কারাবন্দিরা পালানোর চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকাগুলি চালায়।এ সময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আবারো ভেতরে ঢুকে যায়। তবে এই সুযোগে বেশ কজন কারাবন্দি পালিয়ে গেছে। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঠেকাতে গিয়ে ৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। এছাড়া কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অস্ত্র ভান্ডার রক্ষিত আছে, কারাবন্দিরা নিরাপদে আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে স্বজনরা কারাবন্দি সাথে কথা বলছিল। হঠাৎ ভেতর থেকে বেশকিছু উচ্ছৃঙ্খল কয়েদি কারারক্ষীদের মারধর শুরু করে। এ সময় বাইরে থাকা করাবন্দিদের স্বজনরাও চেচামেচি শুরু করেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, কারাগারের ভেতরে থাকা কুষ্টিয়ার চাঞ্চল্যকর দশ টুকরা হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কারাগারে গুলির শব্দ শুনে উৎসুক জনতা বাউন্ডারি গেটে জড়ো হয়। তারা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কুষ্টিয়া ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুল আলম শিকদার বলেন, কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। জেল সুপার জানিয়েছেন, সামান্য সংখ্যক কারাবন্দি কারাগার থেকে পালিয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭